বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৬

নাগরিকতা কিংবা রক্তাক্ততা

শক্তি ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে, কমে যাচ্ছে সূর্যের আলো,বাতাসে বাড়ছে কার্বনের আধিক্য। জ্বালানি তেলে পুড়ে যাচ্ছে নগর। ভাঙ্গা ইটের কাঠানোয় দাঁড়িয়ে থাকা ভবন গুলো স্থায়িত্ব হারাচ্ছেই।চাঁদ উঠেছে ঐ দিকের আকাশে, নিভে গেছে তারাদের আলো আলো জ্বলা হেডলাইটের জ্বীপ ভর্তি স্বসস্ত্র সৈনিক, লাল আগুনের ধোয়া উড়ে যাচ্ছে সামনেই।আকাশে গোলা বারুদ, যুদ্ধ বিমান পাবলিক এয়ারপোর্টে। সাইরেন বাজিয়ে যাচ্ছে নগর পুলিশ। ও ধারেই ওদের ক্যাম্প, আর্তচিৎকার আর বেয়ানেট এর আঘাতে রক্তে জমে যাচ্ছে ব্যারাকে ব্যারাকে, রেডিও তরঙ্গে নেতার জ্বালাময়ী ভাষনে কেঁপে উঠছে সাউন্ড বক্স,বাতাসে রক্তের গন্ধ, শকুনে খুড়ে খাচ্ছে মাংশ, রাস্তা ফাঁকা, নগর ফাঁকা ,ফাঁকা শোবার ঘর, শব্দ নেই আলো হাতড়ে যাচ্ছে ভীতু চোখ গুলা সামনেই চেকপোস্ট ,তারপর আবারো চেকপোস্ট, আস্ত্রধারী মিলিটারীরা, হেরে যাচ্ছে অদম্যতা,সাহস আর দুইটা চোখ। বুকে হাত মাইকে গান উপরে পতাকা দূর দৃষ্টিতে জ্বীপ, এগিয়ে যাচ্ছে সময় কমে আসছে খাবার,আকাশ ছোয়া দামের বাজারে নামানো শাটার। রণসঙ্গীতে কাপছে বুক, না ঘুমানো চোখে শহীদের রক্ত। অস্ত্র নেই ট্রেনিং নেই খাবার নেই আশ্রয় নেই পিঠে বয়ে চলা সঙ্গীর লাশ। বুকে সাহস আর অন্তরে দেশপ্রেম। মারা যাচ্ছে মানুষ। জননীর প্রতি অত্যাচারে বেড়ে যাচ্ছে ঘৃণার মাত্রা, সামনেই লাল আর সবুজ আর তারো সামনে শহীদের কাফন, শহীদের রক্তের কসম দেশ এবার স্বাধীন করবোই, আর আমরা করেছি।

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...