বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

নৈঃশব্দবতী

এখন রাত ৩টা ১৫মত বাজে গভীর কোন রাত না তবুও চমত্‍কার আঁধার সবখানে।রেডিওতে আমার ভালবাসা অনুষ্ঠান শুনেছিলাম।আকাশের শেষ প্রান্তে চাঁদ উঠেছে।গান শুনতে বড় ভাল লাগে আমার।তারারা হাতছানি দিয়েছিল।তাকে আমি চোখ বন্ধ করে দেখতাম।এখন অন্যদের মতে ধরে নেওয়া যায় অনেক রাত।নিঃশব্দ চারপাশ।সেই নৈঃশব্দবতী কন্যাটি এখন কোথায়?কোথায় তার বিচরন।বাগানের ফুলের সুবাসে আমি হেটেছিলাম অরন্যে।খুঁজেছিলাম তাকে দিয়েছিলাম বাড়িয়ে হাত।এখন তারা আর চাঁদের আলোয় অপরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।তাকে বড়ই চেয়েছিলাম।খুব বেশী প্রায় অসীমের কাছাকাছি।এর চেয়ে বেশী কি ভালবাসা যায়?সে বাগানে হেঁটেছিল।বাগানের প্রতিটি লাল গোলাপ চেয়ে ছিল তার পানে।ভাবছিল এই কি সেই নৈঃশব্দবতী যাকে উত্‍সর্গ করা হয়েছিল পৃথিবীর সব গোলাপের লাল আর সুবাস।তার পদচরনে ছিল না স্বাভাবিকতা।শব্দ ছিল না ছিল এক রাশ ভালবাসা।ভাষা ছিল না ছিল এক গভীর অনুভূতি।প্রনয় ছিল না ছিল এক আকাশ বিশালতা।বাক্য ছিল না ছিল এক রাশ ব্যাথা।তার কাছে যত নিঃশব্দে বলেছি তারো অধিক নিঃশব্দে সে সরে গেছে।জীবনটা থেমে গিয়েছিল প্রবল নিঃশব্দে।কেউ ডাক দেয় নি বলে নি যাও।তবুও কত চোঁখের জল আর কত অপ্রনয়।বর্ষার জলের মধ্যে দিয়ে তাকিয়েছিলাম।দেখা যায় নি কিছুই।আকাশের মেঘ ডাকছিলে থেমে থেমে।এত শব্দ তবুও তিনি ছিলেন শব্দহীন শুধুমাত্র আমার সামনে।খেলা খেলে নি সে আমায় খেলতে ডাকেও নি আমায় তবুও নিঃশব্দতা আমাকে কাঁদায়।চোখের জল মাটিতে ফেলতে বাধ্য হই আমি।বহু শব্দের মাঝেও আমিও টের পায় এক সুবিশাল নিঃশব্দ যা আমি চেয়েছিশাম।আকাশের আলো নিভে যায় তারারা ডাক দেয় দুরের মানুষ দুরে রয়ে যায় আর তিনি আমার নিকট বরাবরই নৈঃশব্দবতী হিসেবে থেকে যান।

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত

কি সব অদ্ভুদ চিন্তা যে আসে আমার সময়ে অসময়ে।অবাক হই আমি কি সব ভাবছি।মনে হয় মাত্রা হীন একটা জগত থাকলে কেমন হত?যার দৈর্ঘ্য নেই প্রস্থ নেই উচ্চতা বা সময় ও নেই।তাহলে কি কোন বস্তু দেখা সম্ভব হবে?আবার মনে হয় ৫ম মাত্রার একটা জগত কি থাকতে পারে না?কিন্তু ৫ম মাত্রা টা যে কি আমি বুঝি না।সায়েন্স ফিকশান পড়ে মনে হয় তার মত একটা জগত থাকা বড় দরকার।আবার দেখা যায় অথবা মনে হয় আমরা সবাই বসে আছি একটা ট্রেনে যা ছুটে চলেছে অসীমে।আচ্ছা অসীমে কি পৌঁছানো সম্ভব?যা হোক আমরা সবাই এই চরম সত্যটি জানি যে ট্রেনটি অনন্তকাল এইভাবে ছুটতে থাকবে অজানা গন্তব্যে কোন দিনই খুঁজে পাবে না তার ঠিক ঠিকানা।তবুও আমরা সবাই এমন ভাব করছি যেন আমরা মজাদার এক পিকনিকে যাচ্ছি যেন এখনি আমরা নেমে যাব আর হৈ রৈ করব।সবাই মেনে নিয়েছি সত্য।বাস্তব জীবনও কি তাই নয়?আমরা কি ছুটে চলছি না এক অন্ধকার জগতের দিকে যেখানে সবাইকে যেতে হবে।ক্রমেই কি কমে যাচ্ছে না আমাদের সময়?আস্তে আস্তে কি সূচক কাঁটা নেমে যাচ্ছে না?সব গুলার একটাই জবাব হ্যাঁ।আর আমরা কি সবাই ভান করি না যে এটা আমাদের মনে নেই? আর তার পরেও আমরা কত সপ্ন দেখি আশা য় বুক বাঁধি এগিয়ে যেতে চায় অনেক দূরে তারপর কি হঠাত্‍ এক ঝড় এসে চিরতরে উড়িয়ে দেয় না আমাদের?জীবনটা যে আসলে কি যার সঠিক ব্যাখ্যা আসলেই দেওয়া যায় না।এত ব্যাথা এত কষ্ট এত আনন্দ কি থেমে যায় না কয়েক সেকেন্ডে?মনে হয় আসলে আরো কিছু।অনেক গুলোর ব্যাখ্যা করা যায় আর অনেক গুলোর যায় না।কিছু কথা বা প্রশ্ন মানুষকে কাবু করে দেয়।কেন রাত নেমে এলে বা আলো জলে উঠলে পৃথিবীর সব দুঃখ বা কষ্ট গুলো জেগে ওঠে একসাথে?বা কেন আঁধার নেমে গেলে সুখের পরশ গা বুলিয়ে যায়?কত টুকু অশ্রু গড়ালে হ্নদয় জলে সিক্ত?সব ব্যাথা পৃথিবীর আর দুঃথ এসে যায় অন্তরে আর সব কথা এসে মাথায় জড় হয় কত প্রশ্ন থেকে যায় পৃথিবীর এক প্রান্তেই।থেকে যায় দেখতে পায় না বিশাল পৃথিবীর সামান্য অথবা সামান্য পৃথিবীর উজ্জ্বল আলো।

অন্ধকার ভালবাসা

অনেক দিন আকাশটা শুন্যতায় ঢেকে ছিল।আলো ছিল না চারদিকে।শুন্যতা পূর্নতা দূর করে এনে দিয়েছিল এক অবসাদ এক ক্লান্তি।ইহকাল পরকালের সমস্ত আঁধার বিছানো ছিল সবখানে।শুন্য আকাশটা তৃষ্ণায় হাহাকার করে যেত।মধুময় স্মৃতি গুলা চোখের সামনে ভাসত।এক অপরিমেয় ভালবাসা অজান্তেই গড়ে উঠছিল।দেখাদেখি নয় শুধুমাত্র অনুভবে প্রতিটি হ্মনে ভালবাসার প্রদীপ জ্বলে উঠছিল।না পাওয়ার এক তীব্র বেদনা এসে গ্রাস করে ফেলেছিল শুন্য সেই আকাশটাকে।আকাশে ছিল না চাঁদ ছিল না তারা ভালবাসার আলো আজও পৌছায় নি সেখানে।সেখানে ছিল এক তীব্র জলন্ত কোন পিন্ড যা জলে উঠত থেকে থেকে।হাসি কান্না নিভে গিয়ে এক অচেনা জগত সৃষ্টি হয়।ভালবাসার একটা শুন্য বেলুন সেই আকাশটার নিকট এলাকায় ঘুরে ফিরত।ভালবাসা পাখি ক্রমেই জেগে ওঠে।বাধাহীন অনন্ত সীমাহীন মরুময় পথে আলোক সমুদ্রের গর্জনে একটা মাতাল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।ভালবাসা রঙ্গিন বেশে প্রায়শ জেগে উঠত।প্রান্তে প্রান্তে প্রতিটি প্রান্তরে তার বিচরন।সেই এসে চলে যেত দেখা দিত না থেকে যেত দূরে বহুদূরে।তা সে বুঝত না অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করত।জীবন বড় বিচিত্র কী হতে কি হয়।জানি না।শুন্য হাতটি যখন বাড়ানো ছিল কে যেন তাতে বাধাঁ পেত।অবাক ব্যাপার।হঠাত্‍ একদিন আকাশে অনেক আলো দেখা গেল এতটা যে তাকানো যায় না।শুন্য আকাশটা ভরে গেল এক অচেনা অথবা চেনা পুরানো আলোতে।

শেষ বিকালের প্রতিচ্ছবি

শেষ বিকালটা বড় অদ্ভুদ একটা সময় বিশেষত যখন সূর্যের তীব্র আলো একেবারে নেমে যায় আর সন্ধ্যা আসছি আসছি করে।এ সময়টা একেকজনের কাছে একেকরকম মনে হতে পারে।আমি বিকাল ভালবাসি কখনো সকাল নয়।সকাল কি অনেক সুন্দর?আমি কখনো সকাল কিভাবে হয় দেখিনা।শেষ বিকালে আমার এমন কিছু স্মৃতি আছে যা খুবই অস্বস্তিকর।আমি বরাবরই দেখেছি তাকে যার সাথে যা আমি চায় না।শেষ বিকালে আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় মিলিয়ন মাইল আলোক বর্ষ দূরে কমপহ্মে সেখানে তো সে নেই।মনে হয় ঈশ্বর মানুষকে অনেক কম হ্মমতা দিয়েছেন।এতটাই কম যে আমরা তা অনুভব করি না।আচ্ছা মানুষের জীবনটাকে যদি আমরা একটা সংখ্যারেখার সাথে তুলনা করি তাহলে আমাদের অবস্থান কোন ঘরে নেগেটিভ নাকি পজেটিভ?কেউ কেউ ভাবে জীবনের সবই পূর্ব নির্ধারিত আসলেই কি তাই আমার তো তা মনে হয় না।আচ্ছা বেঁচে থাকা বা জীবন ধারন করার আসল উদ্দেশ্যটা কি? ভালভাবে পড়ালেখা করে একটি চাকরী করা বা প্রচুর টাকা কামানো।আনন্দ বা ভোগ বিলাস নাকি আরো বহু কিছু।মন বলে কি আসলেই কিছু আছে আর যদি থাকে তাহলে তাকে নিয়ে এত সমস্যা কেন?আচ্ছা সময় বলে কি বাস্তবে সত্যিই কিছু আছে নাকি এটা একটা ধারনা মাত্র।সময় মানে এগিয়ে যাওয়া আর পরিবর্তনশীলতা।আর শেষ বিকালে যে আলো তা আমাকে মনে করিয়ে দেয় কিছু কথা যা আমি মনে করতে চাই না কখনো।

অদেখা ছায়া

কথনো কখনো নিজের ছায়া দেখে অবাক হই এটা কি আমার ছায়া?আচ্ছা মানুষের আলোতে সবচেয়ে নিয়মিত ও নিশ্চিত সঙ্গী কি ছায়া হতে পারে।নিজেকে কি সবাই চিনতে অথবা বুঝতে পারে?অন্তত আমি তো তা পারি না মাঝে মাঝে নিজেকে বড় অচেনা মনে হয়।দূর বন্দর দিয়ে ছুটে চলা দুরপাল্লার গাড়ির হর্নের মত শব্দ পায় তখন।নিজেকে বুঝতে পারাটা আমার মনে হয় অনেক কঠিন কাজ।তখন দেখি সূর্য যার আলো মনে হয় পৃথিবীতে নেই সূর্য আছে অথচ আলো নেই।কোন মানুষই কি পারে তার পুরা চিহ্ন মুছে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারে না।মনে হয় পারে না কারন পাখি উড়ে গেলেও তার পালক পড়ে থাকে।আর মানুষ তো আরো বড় কিছু।ঐ যে তিনি কি পেরেছেন তার সব চিহ্ন নিচিহ্ন করে দিতে ?পারেন নি।তবে পেরেছি আমি মুছে দিতে তবে মুছে ফেলাটা বড় শক্ত কাজ ছিল কারন এটা কোন পেনছিলের ছিল না যে রাবার দিয়ে ঘষা দিলাম মুছে গেল।এটা ছিল পাথরের চাইতে কঠিন কিছু তবু পেরেছি।নিজের ছায়াকে কষ্ট হয় দুঃখ নেই দুঃখ হয় কেন একটা অন্ধ মোহ লেগেছিল আমার।যা আসলেই সস্তায় কেনা পারফিউমের মত কিছুহ্মন গন্ধ থেকে তারপর হাওয়া কেন যে পা টা কেটে গিয়েছিল বুঝি না।আশার নদীর ওপারে ভেবেছিলাম অনেক কিছু দেখব দুঃখ কিছুই দেখলাম না।এক সমুদ্রে লাফ দিয়েছিলাম নিজের ছায়া ধরতে পারলাম না ধরতে।তার পর কেটে গেছে দীর্ঘ সময় কেটে গেছে আঁধার।নতুন আলো এসে দূর করে দিয়েছে পা কেটে যাওয়ার ব্যাথা।এখন ওসব ভাবলে নিজের উপর ঘৃনা হয় ছি ঐটা আমি করতে চেয়েছিলাম। সস্তার একটা পারফিউম মাখার জন্য আমি এতটা উদগ্রীব ছিলাম যে আমার ছায়া পর্যন্ত অবাক হয়ে যায়।ছায়া দৌড়াতে থাকে আমিও তাকে ধরার জন্য দৌড়াতে থাকি।কিন্তু না কখনো তাকে ধরতে পারি না।

জ্বলের অতলে

জীবনের এক একটা সময় বা অধ্যায় আসে যখন অনুভূতি গুলো অন্যরকম হয়ে যায় চোখের সামনের চেনা জগত অচেনা মনে হয়।একটা সময়ের অনুভূতি আরেক সময় বড় অদ্ভুদ মনে হয়।এটা অনেককাল হয়ে যায় আমি রাতের তারা দেখিনা চাঁদের আলো আমার বিছানায় আসে না।আসলে কেমন যেন সব কিছু বর্নহীন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।জগতের সব রঙ যেন দূরে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে।ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে অনুভূতি গুলা।ফুয়েল শেষ হয়ে যাওয়া গাড়ির মত থেমে আছে অচেনা ভালবাসা।একটা সময় ছিল যখন অচেনা একটা ঘোর থাকত সবসময় দূর দিয়ে বয়ে চলা নদী অথবা বহু দূরের ঐ নীল আকাশ আমায় হাতছানি দিত।খুব আস্তে একটা শব্দ সবসময় বহু দূর থেকে এসে আমাকে কেড়ে নিত।আজ আর আসে না মেঘের ডাক, দূর দিয়ে খেলে যায় না তারা।আসলে ঝাপসা হয়ে গেছে আবেগ পুড়ে গেছে ভালবাসা নষ্ট হয়ে গেছে অনুভূতি।বর্শার শীতল ধারা আমাকে স্পর্শ করে না।কেউ তো নিয়ে যায় না জলের অতলে।রাতের আকাশের একরাশ মেঘ অথবা দিনের আকাশে অপরুপ মেঘ আমাকে আনন্দ দেয়।রাতের আকাশের ঐ দূরের ধ্রুবতারাদের সাথে মাঝে মাঝে আমার কথা হয়।আসলে অচেনা ভালবাসা এসে বরাবরই হানা দেয়। যে ভালবাসার রঙ জলে গেছে তা কি আর মিলবে।হাসি নেই বা আনন্দ।মনে হয় এই পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপে চলে গেছি আমি।মনে হয় এত মায়া বা অনুভূতির বা কি দরকার ছিল?চলত কি না এই দুনিয়া এটা ছাড়া?নির্জন প্রান্তে বসে থাকতে বড় ভাল লাগে আমার।আসলে কত কিছু যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে করতে হয়।থেমে যাওয়া ভালবাসা চলে না আর,চলে না আর তার গতি।পুড়ে যাওয়া অনুভূতি থেকে যায় দূরে।তবু একটা কথা মনে হয় শুধু যে অনুভূতি কেন ঝাপসা হয়ে যায় বারে বারে?

জ্বল তারা আর জোছনা

ছাদে শুয়ে আছি দৃষ্টি বহুদূর !দূর কালো আকাশ চাঁদ নেই কোথাও ।বিস্তৃত আকাশের বুকে কত না তারা এত,এত তারার মাঝে একটা তারা কি বিশেষ নয়?শব্দহীন পরিবেশ মৃদু স্বরে গান বাজছে ।কোন একটা তারা চলে যাচ্ছে দূরে আহারে কতকাল তাকে দেখিনা "যাকে ভালবাস তাকে মুক্ত করে দাও যদি কথনো ফিরে আসে তাহলে তা তো তোমার হয়েই গেল আর যদি না ফেরে তাহলে তা কোনদিনই তোমার ছিল না"কথাটি সম্ভবত বলা হয়েছিল পোষা পাখিকে নিয়ে।আমি তো একজন মুক্ত করে দিয়েছি অনেক আগে তারাদের সাথে পাখিদের মাঝে আমার থেকে বহু দূরে শুন্য থেকে অনেক দূরে।না সে তো ফিরে আসে নি ফিরে আসে নি তার সত্ত্বা ফিরে আসে নি তার বিচরন।একলা আমি নদীর তীরে চেয়ে থাকি দূরে বহুদূর দিয়ে যখন সাদা বক বা কালো কাক উড়ে যায় আমি তাদের দিকে হাত নাড়ায়।খুঁজে ফিরি একজনের পদধুলি দূর থেকে দূরে।পাখি উড়ে চলে গেলেও পালক থাকে পড়ে আর মানুষ দূরে সরে যায় স্মৃতি থাকে পড়ে।মনে হয় হারিয়ে যায় দূরে না সে নয় থাকতে দূরে বহু দূরে।

পথের ক্লান্তি ভুলে

আবেগ বা ভালবাসা অথবা স্নেহ মায়া মমতা কাছে থাকার আকুলতা আমি বিশ্বাস করতাম যে এগুলো বলে পৃথিবীতে কিছু নাই তবে এখন আমাকে আমার বিশ্বাস ভাঙ্গতে হচ্ছে।দূর রনতে যখন আমার ডাক পড়েছে আমাকে তার উত্তর দিতে হয়েছে।চলে আসতে হয়েছে দূরে।ফেলে আসতে হয়েছে মায়ের কান্নার আওয়াজ বাবার নির্বাক শব্দহীন কান্না।আমি বুঝি না ভালবাসা কারে কয় জানি না অন্তরের টান কি?এই আমি যখন একা ছুটে চলি লোকালয়ে অথবা ফিরে আসি যেখানে আমার ঘর তখনই আমি বুঝি 'দূরত্ব' কি জিনিস।আমি ধারন করতে পারি না ব্যাথা কষ্ট আর দুঃখ।দুর্বার গতিতে ছুটে চলা জীবন কিংবা পড়ার টেবিলে বসে অংক করা কোনটাই কি সুখকর?জানি না কতটুকু ভালবাসা পেলে পূর্নতা পাওয়া যায়।হঠাত্‍ ফিরে আসি কল্পনায়।আমি জানি কতটা ভালবাসি আমি।দুর থেকে ভেসে আসা এতটুকু আওয়াজ আমি শুনি বারেবারে।পথের ক্লান্তি ভুলে আমাকে যেতে হবে বহুদূর। 

আঁধার অথবা কান্না

মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হই কী অদ্ভুদ আর অচেনা মনে হয় চেনা আর পুরানো সেই আকাশটাকে।কখনো কখনো রাতের আকাশ দেখা যায় না।চাঁদ বা তারা কেউ কোথাও থাকে না।বড় ভয় হয় তখন।রাত কেন এত সুন্দর হয়।দূর দিয়ে চলে যাওয়া ট্রেনের শব্দ অখবা ঐ দূর আকাশের নীল আলোর ঝলকানি আমাকে ডাকে বারেবারে।নিজেকে আবিষ্কার করি এক অন্য জগতে।ব্যালকনির এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকি।মনে হয় পৃথিবীতে না আমি দাঁড়িয়ে আছি অন্য এক জগতে।মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।তারপর ব্যালকনির রেলিং এ কয়েক ফোঁটা জ্বল পড়ে।অন্য হাত দিয়ে তা মুছে ফেলি।আমার চোঁখের জল অন্য কেউ দেখুক আমি তা চাই না।মাঝে মাঝে বড় কষ্ট হয় বুকের উপর মনে পাথর বসে আছে।বর্ষা চলে আসে ভিজে যায় চারপাশ ভিজে যায় আমি।হাত প্রসারিত করি স্পর্শ করি জলের।কয়েক ফোঁটা জল চোখে দেই কারন চোখের জলে ভিজে যায় চোয়াল ভিজে যায় ঠোঁট।বর্ষার জলের কত সুবিধা।যখন বর্ষার জলে ভিজে ভিজে চোখের জল পড়ে কেউ বুঝতে পারে না কাঁদছি।রাতের ব্যালকনি আমার দাঁড়িয়ে থাকি একা শহর থাকে ঘুমিয়ে ব্যালকনিতে আমার কেউ আসে কদাচিত্‍।মাঝে মাঝে আকাশে মেঘের গর্জন ফুটে ওঠে সাদা আলোয় দেখা যায় চারপাশ।প্রকতি আসলে বড়ই সুন্দর।রাত যত বেড়ে যায় নীরবতা ততটা গাঢ় হয়।রাতের পরিবেশ আমাকে কাঁদায়।বর্ষার জল গায়ে লাগে জোনাকির রঙ্গিন আলো গায়ে লাগে।রাস্তা দিয়ে অনেক বাদে একটা দুইটা যান চলে।ডাক দেয় কান্না ডাক দেয় সৌন্দর্য।নিজেকে প্রশ্ল করি কোখায় আর কেন আছি?এই দূরত্ব এই পৃথিবী।চলে যায় বর্ষা ধুয়ে যায় সব সন্দেহ।আনমনে ঘরে ফিরে যায়।জালি আলো।দর্পনে নিজেকে দেখি ঠিক চেনা যায় না চোখের নিচে জল অথবা ফোলা আলো নিভিয়ে দিই।বিছানায় শুয়ে পড়ি।ঘুম আসে না এপাশ ওপাশ করি।ভোর চলে আসে কোন এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি।

আলোকিত আঁধার

পৃথিবীটা অনেক রঙ্গিন আর সুন্দর।সুন্দর রং গুলা পৃথিবীকে করেছে রঙ্গিন আর আলোকময়।এটা যেন পিকাসোর আঁকা ছবি অথবা শেকসপীয়ারের লেখা বিখ্যাত কোন নাটক না হয় ভুল ভুল হতে হতে মিলে যাওয়া নিউটনের কোন সূত্র অথবা যুদ্ধে জয়ী কোন বীর।না পৃথিবীটা এর থেকেও বড় বেশী চমত্‍কার।রাত চলে আসে।আঁধার ঢেকে দেয় চারপাশ।রেডিওতে আমার ভালবাসা প্রোগ্রাম চলছিল।গান শুনতে আমার ভাল লাগে।চাঁদ হঠাত্‍ এসেছিল।শহরের কোলাহল থেমে গিয়েছিল।আমি তাকে চোখ বন্ধ করে দেখেছিলাম।মৃদু আলো জলছিল দূরে।থেমে থেমে বায়ু বয়ছিল।রাস্তায় মানুষ হাটছিল।ট্রেন হর্ণ দিচ্ছিল।দূর বন্দরে বারে বারে বিপদ সংকেত আসছিল।একা দাঁড়িয়েছিলাম।নদী শান্ত ছিল।নৌকা ছিল বহুদূরে।মাঝি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল।আকাশে মেঘ ডাকছিল।সাদা আলোয় দেখা যাচ্ছিল চারদিক।আমি নদীতে নামছিলাম।মাঝি এগিয়ে এসেছিল।কাছেই আলো জলে উঠল ।আওয়াজ হল বিকট।গাছ গেল ভেঙ্গে।চাঁদটা মেঘে ঢেকে ছিল।পা পানিতে ভিজেছিল।একা উঠেছিলাম তীরে।হাঁটছিলাম রাস্তা দিয়ে।কেউ ছিল না দূরে কাছে। থেমে থেমে দূরপাল্লার যানগুলো যায়।অবাক দৃষ্টিতে আমায় দেখে।হারিয়ে যায় আমি।দীর্ঘ রাস্তা শেষ না হয়।হেঁটে যেতে থাকি একা।কারো দেখা নাহি মেলে।বাড়ি ফিরে যায় কোনসময় আনমনে।দেখি সেই ব্যালকনি আছে দাঁড়িয়ে।চলে যায় আলো সরে আসে আঁধার।নেমে আসে শব্দ চলে যায় বাস্তবতা।বায়ু বহে বৃহ্ম নড়ে।রেডিও চলতেই থাকে জকিরা কথা বলতেই থাকে।আমি হাঁটতেই থাকি।চলে যায় দূর কল্পনাতে উঠে পড়ি সপ্নলোকে চলে যায় সপ্নে দেখি না দেখাকে।চলে আসি বাস্তবে দেখি পৃথিবীর আলো আমার ঘরে এসেছে চলে আলোকিত আঁধার দেখতে পায় না কোথাও কারো মাঝে।

মেঘলা আকাশে

আঁজ আকাশটা বড় মেঘলা দেখাচ্ছে ঘড়ি বলে দিচ্ছে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে তবুও ঐ চেনা আর পুরানো সূর্যটাকে কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা যায় না।পাহাড়ের সমান অথবা তার চেয়ে উঁচু কালো মেঘ গুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।কোথাও কোথাও অল্প সাদা মেঘ দেখা যায় আর বাকীটা কালো মেঘে ঢেকে থাকা এক অদ্ভুদ রকম দেখায়।হ্মনে হ্মনে দূর আকাশের মেঘের গর্জন শোনা যায়।বাতাস বয়ে যায় হ্নদয় দোলা দেয়।কর্মব্যস্ত মানুষগুলো ঈষাণ কোনে জমে থাকা মেঘ দেখে ভয়ে বাড়ি ফিরে যেতে থাকে।পাখি উড়ে যায়।কৃষক গরু চরাতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়।দূর দিয়ে ছুটে চলা ট্রেনের হর্ণের শব্দে মাথা ধরে যায়।বহুদূরের আকাশে ডানা মেলে চলে যায় প্লেন।যাত্রীরা থমকে দাঁড়ায় ভয়ার্ত মুখে তাকায় জমে থাকা কালো মেঘের দিকে।সমুদ্রে বায়ু বয়ে চলে অবিরাম।চিন্তিত গলায় বার বার বিপদ সংকেত দিতে থাকে রেডিও ষ্টেশনগুলো।থেমে থাকা জাহাজগুলোর যাত্রীরা নেমে যায়।মেঘের গর্জন বাড়তে বাড়তে একসময় বেয়ে চলে আসে জ্বল।বর্ষার জলে ঝাপিয়ে পড়ে তরুন বাচ্চা অথবা কিশোরী।কাঁটা নাড়াতে নাড়াতে দূর পাল্লার যানগুলো ছুটে চলে দূরে।মাঝিরা নৌকা পাড়ে রেখে দেয়।চলে বর্ষার রাজত্ব নদী পুকুর আর খালগুলো থৈ থৈ করে জলে।বর্ষার জলে ধুয়ে যায় হতাশা ফিরে আসে উদ্দামতা ।সবার মনে আশা জাগে ।মেঘলা আকাশ জীবনের নতুন পথ দেখায়।একসময় চলে যায় বর্ষা আসে আবার সাদা মেঘ আর তীব্র রোদের সূর্য।সবাই আবার তাকায় ঐ আকাশে আবার কখন এতটুকু মেঘলা আকাশ দেখা যায়।

কত দূরে

কত দূরে চাঁদ কত দূরে তারা আর কত দূরে আকাশ কত শত মাইল।চোখটা বন্ধ করি দেখা যায় আঁধার আর আঁধার।কত দূরে নদী কত দূরে তিনি।শীত বর্ষা চলে যায় চলে পূর্নিমার রাত তবুও দিন চলে যায় সময় কেটে যায়।না পাওয়ার অর্থটাকে বারে বারে খুঁজে ফিরি।ঐ দূরে থাকা তারাদের বলি ভোরের তারা রাতের তারা আমাকে জানিয়ে দিস কোথায় আছে কেমন আছে ।কত কাছে আছি বাস্তবে আর জীবনের অন্য অর্থে কতনা দূরে।রোদ নেমে যাওয়া বিকাল অথবা চাঁদ থাকা রাতে একা ছাদে দাঁড়ায়।মিটিমিটি করে জলে তারা ।কেউবা কাছের কোথাও যাই।জলে যা পড়ে গেছে তা কি আর ফিরে পাওয়া সম্ভব?যে ভালবাসার রং জলে গেছে সেই রংটুকু খুঁজে পাওয়া দায়।কত শত দিন চলে গেল দেখা নাহি মিলিল।কাছে থাকা সূর্যটাকে কিছুতেই ছোঁয়া গেল না।কি কারন যায় নি সে বলে কি ভুল আমি করেছি ভুলে। মনে হয় জানে না আকাশ জানে না তারা কেমন আমার অবস্থা।শুনল না কথা মানল না অনুরোধ চলে গেল দূরে জালিয়ে আগুন কোখায় যে সে চলে গেল আগুনে পুড়ে মরি জল ঢালে না কেউ।কেন এসেছিল পিকাসোর বুকে মিথ্যা মোহের আলো নিয়ে।চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকি কত মানুষ আসে যায় ফিরে।আসে না থেকে যায় দূরে।কত টুকু দূরে থাকলে যাকে বলি ইনফিনিটি তার থেকেও দূরে থাকে সে।

সম্পর্ক

বলা হয় সম্পর্ক শব্দটি যত ছোট এর ব্যাপকতা নাকি ঠিক ততটাই বেশী।ব্যাপারটি নিয়ে আমিও ভাবি অনেক সময়।সত্যিই তো তাই সম্পর্ক তো অনেক গভীর একটা ব্যাপার।আমি যা ভাবি সেটা হতে ভুল তবে হোক না ভুল তাতে কি?ব্যক্তিগত ধারনা তো ভুল হতেই পারে।আসলে সম্পর্কটা বহুমখী এর কোন নির্দিষ্ট দিক মাত্রা বা সীমাবদ্ধতা নয়।পুরা জগত আসলে ইন্টার রিলেটেড।জীব জগত সব কিছুর ভিতরেই এটা আছে।প্রতিটি মানুষই আরেক জনের সাথে সম্পর্কিত এটা নানা দিক হতে পারে।এবার ভাবা যাক স্থায়িত্ত্ব নিয়ে কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলো হওয়ার পর থেকে এমন থাকে যে এগুলো কথনো ছিড়ে বা নষ্ট হয় না যাকে কেউ রক্তের সম্পর্ক বলে।আবার কিছু গড়ে দুটি ভিন্ন লিঙ্গের মধ্যে রক্ত থাকে না কিন্তু এটা বড় শক্ত হয়।মানুষ যেমন মানুষের সাথে সম্পর্কিত তেমনি পশুপাখি অথবা জড়র সাথেও কাউকে সে ফেলতে পারে না ।কিছু কিছু আছে যেগুলো সমাজ মানতে চায় না।আমি জানি আমি কারো সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত নয়।আসলে এটা ব্যাখা দেওয়ার মত সঠিক যোগ্যতা আমার নাই।কত সম্পর্ক হয়তবা গড়ে ওঠে মনের অগোচরে যা কখনো ঠিক টের পাওয়া যায় না এমন।এভাবেই মানুষের জীবনে সম্পর্ক একটা গুরুত্ব পূর্ন জায়গায় বসে আছে এর ব্যাপকতা প্রায় ইনফিনিটির কাছাকাছি।

কল্পনার বাইরে

প্রায়ই আমি জন লেলনের ইমাজিন গানটার লিরিক পড়ি আর লিরিক নিয়ে ভাবি।পৃথিবীটাকে অন্য দিক দিয়ে ভাবি।আমরা যে দূষ্টিতে এই আকাশ অথবা দূরের তারা দেখি ঠিক তার বিপরীত অথবা অন্য রকম দিক দিয়ে কিন্তু পৃথিবীকে দেখা অথবা কল্পনা করা যেতে পারে।লেলন কল্পনা করতে বলেছেন দেশ নেই ধর্ম নেই এমন কিছু একটা।আমি ভাবি একটি পৃথিবী যেখানে দেশ নেই ধর্ম নেই হ্যাভেন নেই ইত্যাদি আরো বহুত কিছু নাই।আচ্ছা এমন কি পৃথিবী হতে পারত না?আবার ভাবি এই যে দীর্ঘ সময় শেষহীন আকাশ অথবা বহুদূরের আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘ এগুলোর কি বিশেষ কি কোন উদ্দেশ্য আছে নাকি?ইচ্ছা হয় ছুঁয়ে দিতে দূরের ঐ মেঘ।কল্পনা করি একটি দুনিয়ার যাতে নেই অমানুষ।আজ থেকে শত কোটি বছর পর কি পৃথিবী থাকবে আর যদি থাকেও কেমন থাকবে।মৃত্যুর পর কি হবে।বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য কি।কি দরকার এই জগত সংসারে এই মানবিক আবেগ অথবা দুঃখের আর কেনই বা চলে যাওয়া কারো কথা মনে পড়ে বারেবারে।ঐ যে নিশ্চুপ আকাশ তার কি দুঃখ বোধ আছে সে কি কাঁদে ।কেউ বলে হ্যাঁ আর আমি জানি না দেখিনা বুঝিনা অথবা শুনিনা।কত দূরে চলে গেছে অনুভূতি পুড়ে গেছে আবেগ আর নষ্ট হয়ে গেছে না পাওয়ার বেদনা।কল্পনা করতে পারি না আমি কল্পনা শক্তিও নষ্ট হয়ে গেছে।আর চলে গেছে সীমাবদ্ধতার দেয়াল।সবই আছে আমার সবই নেই আমার বড় একা আমি।

সপ্ন অথবা বাস্তবতা

আচ্ছা সপ্ন কি কখনো সত্য হয় বাস্তব অথবা চোখের সামনে চলে আসে আমি আমরা আর সবাই তো প্রতিদিনই বা প্রায় সপ্ন দেখি আর জেগে উঠি।কিছু সপ্ন দেখার পর যখন এটার কথা মনে পড়ে তখন খুব খারাপ লাগে যে ইশ কেন এটা সত্য হল না।হয়তবা এর রেশ অনেকদিন পর্যন্ত থেকে যায় ।কতক সপ্ন আছে যেগুলা দেখার পর মনে হয় ইশ কি ভয়ংকার সপ্ন রে বাবা।আর কতক সপ্ন তো ঘুম থেকে উঠার পর মনেই থাকে না।আচ্ছা এই সপ্ন ব্যাপারটা আসলে কি আর কেন বা আমরা ঘুমের মধ্যে এটা দেখি?কমপহ্মে আমার আমার কাছে যা মনে হয় তা হল এটা আসল অবচেতন মনের একটা আবাস্তব কল্পনা অনেক সময়ই দেখা যায় যে মানুষ যে বিষয়টা নিয়ে অধিক ভাবে সেটাই সে প্রায় ঘুমের ভিতরে সপ্ন হিসাবে দেখে।কেউ বলে যে আমরা নাকি এই সপ্ন মাত্র তিন সেকেন্ড দেখি কিন্তু আমার তো তা মনে হয়না।কোন ভারতীয় নাকি বলেছে সপ্ন তাই যা আমরা জেগে জেগে দেখি সেটা সপ্ন না যা আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি।একথাটা সত্য হওয়ার কথা।আর যাই হোক সপ্নটা সত্য না হওয়াটাই ভালো।আমি ভারতীয় ঐ ব্যাক্তির মতের সাথে এক হয়ে সপ্ন একটি সুন্দর বাংলাদেশের যেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা নাই,নেই খুন মারামারি,নারীদের নেই ধর্ষিত হবার ভয়। দেখি একটি দেশ যেখানে প্রতিটি মানুষের অভাব নেই প্রতিটি মানুষ সুখে আছে।বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটি মর্যদাপূর্ন আসনে আছে।আমার এই ছোট দেশটাকে আমি বড় ভালবাসি।এই দেশ আমাকে কিছু দিয়েছে আমি এই দেশকে কিছু না কিছু ফেরত দিব ইনশাললাহ।হায় ঈশ্বর আমি যেন আমার সপ্নগুলোকে যেন স্পর্শ করতে পারি।

পূর্ববর্তী জীবনের জন্য

একটা সময় বা নির্দিষ্ট সময় ছিল যেই পর্যন্ত জীবনটা ছিল সুখের আনন্দের আর মজার।আবেগ অনুভূতি ছিল না ,না ছিল ভালবাসার মত নোংরা একটা শব্দের সাথে পরিচয়।ছিল না জটিলতা আর বাধ্যবাধকতা।কঠিনতাও ছিল না তখন।ঠিক নিজের পছন্দের মত একটা পৃথিবী ছিল যেখানে বিচরন করা খুব কঠিন ছিলনা।প্রকৃতি এতটা কঠিনও ছিল না।ছিল না বাস্তবতা মেনে নেওয়ার মত কঠিন এক সময়।জীবনটা বড় সুখের ছিল।নির্দিষ্ট ক্লান্তিকর রুটিনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল।আরো অনেক হয়ত কিছু।ভাল সময় আসলে কম দিনই স্থায়ী হয়।নির্দিষ্ট ঐ সময়টা আস্তে আস্তে কেটে যেতে থাকে। আনন্দ ময় জীবনটা সহজ থেকে কঠিন আর কঠিনতর হতে থাকে।আনন্দ আর সেই মজা গুলো দৌড়ায়ে পালাতে থাকে তাকে যায় না ধরা কিছুতেই।সব কিছুই যেন কঠিন আর প্রতিকূলে চলে যেতে থাকে।আবেগ ভালবাসা গুলো বাড়তে থাকে স্বভাবতই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন জন্মাতে থাকে।ক্লান্তিকর দৈন্দদিন জীবনের রুটিনকে অবহেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে।প্রকৃতির আসাধারন রুপ দেখতে হয়।বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।প্রিয় মানুষের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে হয়।পড়াশুনার চাপে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়।বহু মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করতেই হয় একটি মাত্র আসনের জন্য পরিবার পরিজন ফেলে কত দূরে চলে আসতেই হয়।নাহ্ ছোটবেলার পড়ালেখা যেমন সহজ ছিল আর জীবনটাও ছিল আনন্দ আর সুখের।I am still missing my school life.......

অসমাপ্ত অপূর্ন অর্থহীন

মানুষের জীবনে কোন কিছুই কি স্থায়ী আর একেবার শেষ হয়ে যায় নাকি কিছুটা হলেও থেকে যায়?কোন মানুষই কি পারে নিজেকে সরিয়ে নিতে অচেনা এক জগতে?আমার কাছে তো তা মনে হয় না।একটা কাজ অথবা অন্য কিছু তো মানুষকে প্রতিনিয়তই করতেই হয়।ধরি পড়াশুনা করা ।ঐ যে কোন কবি বলেছিল না সবার আমি ছাত্র।মানুষ মারা গেলেও তার স্মৃতি পড়ে থাকে।আমার মনে হয় প্রতিটি কাজ কখনো পুরাপুরি শেষ হয় না।আবার হতেও পরে কারন আমার ধারনা ভুলও হতে পারে।কত আশা কত সপ্ন আর কত প্রত্যাশা নিয়ে বেঁচে থাকে মানুষ তা কি কথনো শেষ হয়ে যেতে পারে?জীবনে সব কিছু পেয়ে গেলেও কোন একটা অচেনা কারনে জীবন কিন্তু অপূর্ন থেকে যেতেই পারে।পূর্নতা আর অপূর্নতা মনে হয় একটা আপেহ্মিত ধারনা।আচ্ছা একটা মানুষ কি কখনো পুরোপুরি পূর্নতা পায়? ১০০% মনের মত পৃথিবী কি কারো জন্য চলে?হয়তা বিষাক্ত ভাইরাসের মত ছোট একটি অপূর্নতা সমস্ত পূর্নতাগুলো দূরে ঠেলে দেয়।পরিপূর্নতা বলতে আসলে ঠিক কি বোঝায়?শত ভাগ চাওয়াকে পাওয়া হিসেবে আঁকড়ে ধরা অথবা অন্য কিছু।সত্যিই মানুষের জীবনে কতিপয় সময় আসে যখন সব কাজের উদ্দেশ্য লাভ আর অর্থ খোঁজার প্রয়োজন পড়ে না।অচেনা আর অপ্রিয় সেই অর্থহীন কাজগুলো এসে হ্নদয়ে কড়া নাড়ে।প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রয়োজনটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়।অর্থহীন কাজগুলো করার জন্য বহু অর্থযুক্ত কাজ থেকে দূরে সরে যেতে হয়।মানুষের জীবনটাকি তাহলে সত্যিই অপূর্ন অসমাপ্ত আর অর্থহীন?

১ মিলিয়ন কান্না

আসলে এই সুন্দর পৃথিবীটা কারো অনুকূলে নয়।ঠিক যেমনটি চাওয়া হয় তেমনটি করে মেলে না কখনো ।হয়তবা কখনো নিজের দোষে কখনো বা দুর্ভাগ্য বশত সব কিছু যেন চেনা সীমানার বাইরে চলে যেতে থাকে।অধিকাংশ সময়ই মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে ভুলে যায় বাস্তবতা।সপ্নের তালার চাবি যেন জলের বহু নিচে পড়ে যায়।দীর্ঘ প্রতীহ্মার অবসান আর না হয় অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া কোন দুর্ঘটনা।সবই চোখের সামনেই ঘটে তবু যেন আবছাই থেকে যায় সব।পিছনে পড়ে থাকে পদাংক থেকে যাওয়া কিছু অব্যবহ্নত ঘটনা।চেয়ে দেখি আকাশ নেই সীমানা।চাই যা দেয়ালের ওপারে যেন বন্দি হয়ে থাকে আর চোখ দিয়ে জল নামে না কন্ঠ দিয়ে বাণী আসে না।হয়ত নদীর বা সাগরের দীর্ঘ জলের মত পিপাসা লেগে যায় চোখ বুজে ফেলি সামনে দিয়ে চলে যায় বহু কিছু।কিছুই চোখে ভাসে না।রেটিনায় যেন ভাসে না প্রতিবিম্ব।হাতের নিচে মোবাইলের আলো নিভে যায়।নিরবে আলো জ্বলে আর নিরবে নিভে যায়।কত রাত্র কেটে গেছে সূর্য এসে চলে যায় তবুও কোথাও যেন আধাঁর থেকেই যায় শত চেষ্টা করেও আমি পাইনা খুঁজে চলে যাওয়া সপ্ন স্হির চোখে তাকায় নেই অস্বাভাকতা আর নেই সীমাহীনতার মত ব্যাপার।চোখ খুলি তাকায় দেখি সূর্যের আলো সবাই হেঁটে চলে একা আমি দাঁড়িয়ে রই।

মেঘ পরীদের দেশ

মেঘ কিন্তু অনেক বেশী সুন্দর হয়তবা যতটা কল্পনা বা ভাববার দেওয়াল আছে তার তুলনায় বহুগুন অধিক।বিশেষত যখন আকাশটা অনেক নীল দেখায় সূর্যটা তার সমস্ত আলো পৃথিবীকে দেয় আর তার নিচ দিয় শ্বেত মেঘগুলো উড়ে বেড়ায় আপন মনে।কখনো বুঝি উড়ে যায় ঐ একা একা ভেসে চলা মেঘের মাঝে নিজেকে তখন মেঘ ব্যাতীত অন্য কিছু ভাবতে পারি না ।মনে হয় ক্লান্তিহীন একটা জগত যার মাঝে ছুটে বেড়ায় আমি।হতাশা বা দুঃখগুলো পালিয়ে বেড়ায় দূরে।ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সব।একটা সময় থাকে যখন কল্পনা বাস্তব হয়ে যায় আর বাস্তবতা কল্পনা হয়ে যেতে পারে।দূর ঠিকানার যাত্রায় বের হয়ে পড়ি একা।দুঃসপ্নের রাজকন্যার সাথে দেখা হয় না কোনদিন।মেঘপরীরা নৃত্যের সুরে গেয়ে যায় গান।দূর পথ পাড়ি দিয়ে ঐ মিষ্টি সুরের গানগুলো কানের পর্দায় কড়া নেড়ে ফেলে বুঝে ওঠার পূর্বে পালিয়ে যায় ওরা।ওরা বড় দুষ্টু কিছুতেই আমি তাদের ধরতে পারি না।হয়তবা ধরতে চায়ও না।শন শন শব্দে বায়ু বহে আমি তাকাতে পারি না চোখ বুজে আসে গভীর ঘুমে হয়তবা রাতের বাতি না নিভিয়ে শুয়ে পড়ি মাথার উপরে দেওয়াল ঘড়ির কাটা টিক টিক করে চলতে থাকে।দুঃসপ্ন নাহয় সুখের সপ্নগুলোর মেঘ পরীরা আমাকে বারে বারে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়।চোখ খুলে ফেলি ওঠে গিয়ে পানি খেয়ে নিই।সোযা না বাঁকা দৃষ্টিতে আমার প্রিয় ব্যালকনির দিকে তাকায় মাথার উপরে ক্লান্তিহীন ভাবে পাখা ঘোরে।আমি জানালা খুলে দিই।মেঘেরা আমায় হাতছানি দেয় হয়তবা আমি তাদের ভালবেসে ফেলি।চোখ বুজে ফেলি নিজের লাজুক মুখটি ভেসে ওঠে চোখে।ঐ মেঘকে আমি বড় বেশী ভালবাসি।

তবুও আমি

সব কিছুই হয়তবা আগের মতই থাকে বদলে যায় না কোন কিছুই।অপ্রকাশে হয়তবা নিজেই বদলে যেতে থাকি।বায়ুয় সাথে সাথে আমিও চলি এগিয়ে।সব কিছুই আগের মত থাকে না।পরিচিত জিনিষ অচেনা মনে হয়।নিজের অনুভূতি বদলে ফেলি।নিয়ে আসি অন্য মনোভাব।আগের সেই পুরানো কথা ভুলে যেতে চাই।না কান বন্ধ থাকে না অনাকাঙ্খিত শব্দ গুলো শুনে ফেলি সহসা।সব কিছুই যেন ঠিক হয়ে যায়।টাইম ক্রস করে ফেলে ঘড়ি সেই প্রিয় ক্লাসটি বা পরীহ্মাগুলো আসে বারে বারে।সেই পুরানো নিয়মে চলতে থাকে কার্যক্রম।সবই ঠিক আছে হয়তবা নতুন মুখ এসেছে অনেক শুধু আমি থাকি না সে থাকে না থাকে শুধু পুরানো নিয়ম আর বসার জায়গাগুলি।দূরে চলে গিয়েছিল সে অনেক পূর্বে।বহুদিন আমি তাকে প্রত্যহ্ম করতে পারি না।আজ আমি চলে এসেছি বহু দূরে অথচ তার থেকে খুবই কম দূরত্বে একই শহরে।নিয়তির পরিহাসে কেউ কাউকে দেখতে পাই না।তবুও আমি গন্ধ পায় পুরাতনের।তবুও আমি ফিরে পেতে চায় আমার অতীত।সপ্ন গুলো যদিও বর্নহীন হয়ে গেছে তবুও একটা ব্যর্থ চেষ্টা নাহয় করতে তো দোষ নাই।না আমি আর তেমনটি নাই।আমাকে দিয়ে আর ঐ সব করানো সম্ভব হয়ত হবে না।ফুল তুলে কাউকে বলব না।বাস্তবতা মেনে নিয়ে আয়নাতে নিজেকে দেখি আয়নার মাঝে দেখি সেই পুরানো আমি।তবুও আমি।

প্রজাপতি

"আচ্ছা তুমি কি কখনো রাতের তারা দেখেছ?"হ্যাঁ দেখেছি কিন্তু বলতো?আচ্ছা তুমি কি কখনো দেখেছো কেমন করে রাত থেকে সকাল হয়?আচ্ছা এইসব প্রশ্ন করছো কেন বলতো?আচ্ছা তুমি কি কোন গান শোনার সেটাকে কল্পনায় দেখতে পাও?না গান নিয়ে ভাবার মত ফালতু সময় কি আমার আছে বলতো?আচ্ছা তুমি কেন এত আনরোমান্টিক বলতো?তাই নাকি?আচ্ছা তুমি কি বর্ষার জ্বলে ভিজতে ভালবাস?কে বাসে না?আমি ছাড়া সবাই বুঝি ভালবাসে?আচ্ছা তুমি কি জান যে অনুভূতি কি?কেন জানব না?তুমি এমন কেন?কেমন বলতো?সব কথার এমন জবাব দাও কেন?কেমন জবাব দিই?তুমি কি রাগ করছো?কি মনে হচ্ছে?আমার মনে হওয়া দিয়ে কি আসে যায়?তুমি কি কাউকে ভালবাস?তোমাকে বলতে হবে?তোমার বলতে ইচ্ছা কি আছে?কেন শুনতে চাও?ইচ্ছা কি হতে পারে না?তুমি কি আমাকে ভালবাস?না তো কেন এমন মনে হয়?ভালবাস না?ভালবাসলেই বা কি?ভালবাস কিনা জানতে চায়?যদি হ্যাঁ বলি?নাও বলার ইচ্ছা আছে নাকি?তুমি কোনটা জানতে চাও?আমি কে জানার? তুমি কেউ নও?আমি কেউ কি ছিলাম?আমার না হোক অন্য কারো জন্য কি ছিলা না? তাই বুঝি? সত্য নয়?আমি কিভাবে বলব?তুমি জান না?জানলেও কেন বলব?ও আচ্ছা বলতে চাও না?তুমি কি কেউ আমার?কেউ কি হতে পারি না?হওয়াটা কি দরকার খুব?আচ্ছা ভাল থেক চলে যায়?যেতে চাও? থেকে যেতে বলছো?তোমার কি ইচ্ছা আছে?গেলাম কোন একদিন আমার বাসায় কি আসবে?ভাল থেক নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা ভুলবে না তো?না বিদায় দিবে না?বিদায় ভাল থাকতে ভুলবে না কিন্তু?

নীল জোছনা

আচ্ছা জোছনার রং কি কখনো নীল হতে পারে?আহারে এমন যদি হত যে নীল রং এর চাঁদের আলো পূথিবীতে এসে পড়ছে আর সবাই আমরা অবাক হয়ে দেখছি।হয়তবা এমন দৃশ্য পৃথিবীতে কখনো মিলবে না আবার হয়তবা কোন একদিন দেখা গেল নীল আলোয় ভরে আছে চারপাশ।দাঁড়িয়ে আছি একা অচেনা কোন এক জায়গায় আলো বা ছায়া কোনটাই দৃষ্টিতে আসছে না।পথহারানো নাবিকের মত অনুভুতি হচ্ছে মনে হচ্ছে বহু দূরের কোন এক অচেনা দ্বীপে এসেছি যেখানে হয়তবা কোনদিনই কারো আসার প্রয়োজন পড়ে না।হয়তবা কেউ কল্পনা করে না এখানে তাকে আসতে হবে।মনে হয় যেখান থেকে কখনো ফিরে আসা সম্বব নয়।চোখটা বুজে ফেলি স্পষ্ট দেখতে পায় একটা নীল সমুদ্র।বুকের মধ্যে কেমন যেন অনুভূতি হয়।একা হয়তবা হেঁটে বেড়ায়।রাতের যখন প্রায় শেষ তখন যেন কেমন যেন বদলে যায় চারপাশ।মৃদু আওয়াজ কানে আসে।অসংখ্যবার টিউন করা চ্যানেলটাতে জকিদের গলার আওয়াজ আস্তে করে বেজে আবার থেমে যায়।পশ্চিমের আকাশে তাকায় অস্বাভাবিকতা চোখে বাদে না।নীল আলো হয়ত নিভে গেছে বহু বহুদিন পূর্বে দূর আকাশে আর নীল আলোর দেখা মেলে না দুষ্টু পরীটা আর মাঝ রাতে গান গায় না।বহু রাতে আমি আর নুপুরের শব্দ পায় না।চুপ করে থাকতে পারি অনেক সময়।ভেবে নিতে বাধ্য হতে হই যে নীল জোসনা পাওয়া হয়তবা কোনদিনই সম্বব নয়।

অপেহ্মা

কখনো কখনো আমার নিজের কাছে মনে হয় যে কোন কিছুর জন্য অধীর হয়ে দীর্ঘদিন অপেহ্মা করা অনেক বেশী ভালো।যখন অপেহ্মা শেষ হয় মানে অপেহ্মারত জিনিষটা নিজের কাছে চলে আসে তখন আনন্দ যেন কোথায় চলে যায় দূরে।মনে হয় এটা শুনতে বেশী ভালো আগামী সোমবার বড়দিন এটা হতে আজ বড়দিন।শুধু যে কোন নির্দিষ্ট দিনের জন্য এটা সত্য তা কিন্তু না জীবনের আরো অনেক বহুজায়গায় এটা সত্য।আসলে অনুভূতি যে কি তা আমি জানতে পারি নি।একা থাকতে আমি মোটেও ভয় পায় না বরং উপভোগ করি নিঃসঙ্গতাকে।কেন জানি মনে হয় আমার এই নিঃসঙ্গতাই চিরচেনা সাথী।আমার আপন আঁধারে বাস করে কত ব্যাথা কত কথা কত আশা আর কত পরিকল্পনা।খুব কম হয়তবা শেয়ার করি।সামাজিক নেটওর্য়াক গুলোতে হয়তবা একটু আধটু শেয়ার করি ফেলি বাস্তব জীবনে একদমই করি না।রেডিও অনেক সুন্দর।নীয়ন আলো আমার মজার উত্‍স।আমার মোবাইল আমার প্রিয় বন্ধু।বই পড়তে ভালো লাগে।ইন্টারনেট আমার খুব ভালো লাগে।গুগোল আমায় সবচেয়ে বেশী সাহায্য করে।এই তো কেটে যাচ্ছে বেশ।মনে হয় না আমি কিছুর জন্য অপেহ্মা করছি।আবার মনের অগোচরে আমি হয়তবা কারো জন্য অপেহ্মা করে ফেলছি কিনা জানি না।হ্যাঁ হয়তবা অপেহ্মা করছি আমরা সবাই একটি নিশ্চিত পরিনতির জন্য যেটা সবাইকে অনুভব করতে হবেই।

আমারও ইচ্ছা হলো

খুব ছোটবেলা হতেই ছোট ছোট ব্যাপারগুলি আমাকে চমত্‍কৃত করে।অন্যরা সাধারনত যে বিষয়গুলোতে কখনো বা সাধারনত অবাক হয় না আমি সেই বিষয়গুলো আমায় টানে।আমি ঠিক কারো মত নই অন্যরা কেউও আমার মত নয়।প্রতিটি মানুষই ভিন্ন আর এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।কারো সাথে কারে মিল পাওয়া কঠিন।একটা সময় ছিল যখন পর্যন্ত আমি ভাবতাম আমি এটা হব আমি ওটা হব।বাস্তবতা বুঝতে পারার পর বুঝলাম যে সব কিছু স্পর্শ করা সম্ভব নয়।এক সময় আমি ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতাম। যখন আমি এফ এম রেডিও শুনি তখন আমি আর জে হতে চায় যখন রক মিউজিক শুনি তখন ওরকম একটা কিছু হতে মন চায়।এই যে পৃথিবী কাঁপানো ইংলিশ ব্যান্ড লিনকিন পার্ক ,ওয়েস্ট লাইফ,ব্যাক স্ট্রিট বয়েজ,ব্লু,আইরন মেডেন সহ এরা আমার খুব পছন্দের।এদের দেখলে ভাবি যদি এদের মত হতে পারতাম।আমার আরো বহু ইচ্ছায় করে দূর আকাশে যেখানে দিগন্তরেখা সেখানে যেতে।ইচ্ছা করে কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে।মানুষের দুঃখ দূর করে দিতে।সব হয়তবা হয় না হবেও না।মানুষের ভীড়ে আমার হারিয়ে যেতে মন চায়।কখনো কান্না আসে মানুষের কষ্ট দেখে।পৃথিবীটা বড় কঠিন জায়গায়।কাউকে কেউ ভালবাসে অথবা পারে না।চোখ বুজলেই আঁধার আবার খুললেই আলো।আমারও বারবারই ইচ্ছে হলো।

দূরত্ব কি কমবে?

যে দূরত্ব প্রতিদিন বেড়ে চলেছে অবিরাম গতিতে তা কি কমবে কখনো?হয়তবা কখনো কমবে না বা কমার কথাও না।জীবন সমুদ্রের এক পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকি।দূর দিয়ে চলে যায় কত কিছু।জীবনের প্রয়োজনে হয়তবা অনিচ্ছায় অনেক কিছু করে ফেলতে হয়।যে দূরত্বটা এক সময় কত কম ছিল তা এক সময় এতটাই দূরে চলে গেল তাকে ধরা অসম্বব হয়ে দাড়ালো।হয়তবা বিধাতাই চান না যে দূরত্বটা কমে যাক।যার পানে পথ চেয়ে থাকি হয়তবা তার আসার মত যতেষ্ট অবসর থাকে না।সে হয়তবা আমাদের মত নয়।বাস্তবতার দাম হয়তবা সে দেয় না।শুন্য আবেগের দাম অনেক বেশী।হয়তবা সত্যের চেয়ে মিথ্যার মূল্য বড় বেশী।আসলের চেয়ে নকল জিনিস বড় বেশী ভাল।দূরত্ব কমার আশায় আমি আর নেই।হয়তবা আমি আর অতটা অবুঝের মত নেই।এখনো চাঁদ আসে তারা যায় লোডশেডিং হয়।পৃথিবীটা বদলে যায় নি হয়তবা যাবেও না।বদলে যায় মানুষগুলো অকারনে দূরে ঠেলে দেয়।বাড়িয়ে নেয় দূরত্ব।বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের ধার হয়তবা আমি ধরি না।আলো জ্বলে ওঠে চাঁদ চলে যায়।এক সময় যে দূরত্ব ছিল অনেক এখন তা হয়তবা এখন কম।আমি আর সে হয়তবা কথনো এক না।জীবন ট্রেনের ষ্টেশনে থেমে থাকে ট্রেন।আর আমি আঁধারে হাতড়ে বেড়ায় কিন্তু কিছুও পাইনা।ব্যর্থ চেষ্টায় থাকি না দূরত্ব না হয় না কমলো।কারন সব কিছু হওয়ার দরকার নেই।

তবুও ভালবাসি বাংলাদেশ

ভালবাসি নিজের দেশকে যে স্থানে জন্ম আমার।ভালবাসি এই বাংলাদেশকে।ভালবাসি এদেশের জল মাটি আর মানুষগুলোকে।এদেশ আমার এদেশ সকল বাংলাদেশীর আর এর মাঝেই আমাদের সুখ।ছোট এই দেশটাকে ঘিরে আছে আশা প্রত্যশা আর হাজারো সপ্ন এদেশে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ এক খনি।এদেশকে আমি সত্যিই বড় ভালবাসি।আর ঘৃনা করি এদেশের রাজনীতিকে যেটা জঘন্যর সর্বোচ্চ পর্যায়ে।আর ঐ সকল মানুষগুলোকে যারা এদেশের এই জঘন্য রাজনীতিকে চালায়।ছোট এই দেশটা তবু তার যেমন রয়েছে সৌন্দর্য তেমনি হাজারটা সমস্যা।আমি জানি দেশকে ভালবাসা মানে কি।আর যদি তাই হয় আমি দেশের জন্য কিছু করব এবং করব।কে যেন বলেছিল যে দেশ তোমাকে কি দিয়েছে তার আগে ভাব তুমি দেশকে কি দিয়েছ? আমি এই কথাকে ভালবাসি।আমার একটা বাংলাদেশ দেখতে পায় যেখানে সমস্যা নায় আর নাই নোংরা রাজনীতি।দেশের কিছু হবে না এমন কথা বহু লোক বলে বেড়ায় আমি এদের ঘৃনা করি।আমি জানি এদেশে যতটা সবুজ আছে হয়তবা তার অধিক সমস্যা আছে।এদেশ ছিধতাই চুরি ডাকাতি রাহাজানি খুন ধর্ষণ ঘুষ নেশা সহ হাজারো সমস্যা আছে।জনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বহুগুন অধিক।শিহ্মাহ্মেত্রে সমস্যা আছে আছে বহু সমস্যা জনসংখ্যার তুলনায় শিহ্মা প্রতিষ্ঠান অনেক কম।তায়পরে তো একটি দেশ।নারী সমস্যা বেকার অন্যান্য দেশের সাথে চুক্তি হয়তবা দেশটাকে সুন্দর দৃষ্ট দিয়ে দেখবার মতই কিছুই নেই।তারপরেও আমি ভাবি দেশটাকে বদলে দেওয়া সম্ভব যদি আমাদের মত সবাই পজেটিভ চিন্তা করে।হয়তবা কোন একদিন দেখব দেশটা সমস্যা মুক্ত হয়তবা খুব বেশী সময় লাগবে না আমি সেই সপ্নই দেখি।

একলা পথে

কে যেন একটি গান গেয়েছিল যে যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে তুমি একলা চল রে।একলা পথচলার মাঝে কেমন যেন অদ্ভুদ সুখ আর শান্তি আছে কোথাও যেন এতটুকু কৃত্তিমতা নাই।মাঝে মাঝে রাতে বেরিয়ে পড়ি রাতের সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য।একা রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়ায় পাশ দিয়ে অসংখ্য গাড়ি হেডলাইট জালিয়ে এগিয়ে যায় অথবা ফিরে আসে আমার বিপরীত দিকে।কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত থাকে।সবারই হয়তবা বাসায় ফেরাটা দরকার।হাঁটতে থাকি কখনো আলো পথে আর কথনো বা আঁধার পথে আমি খুঁজে পায় আমাকে।আমার খুব ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধু নেই যার সাথে আমি হাটা শেয়ার করতে পারি।আমি জানি না কেন সব আমার অচেনা মনে হয়।অংখ্যবার ব্যবহার করা জায়গা আমি ভুলে যায়।সিনেমা যাত্রা দেখে লোকে বাসায় ফেরে।পুলিশের গাড়ি টহল দিয়ে বেড়ায়।মাঝে মাঝে একটা দুইটা গাড়ি যায়।হিমুর মত হতে ইচ্ছে হয় কখনো।শুধু যে রাত তা না আমি দিনে একা ঘুরে বেড়ায়।দূর থেকে আসা মানুষগুলোর জন্য আমার মমতা হয়।অবচেতন মনে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যায় রেললাইনের ধারে।হাতে খাতা জলন্ত আগুনটা জলে আর কমে।কুয়াশা আর শীতে হয়তবা আমি কাঁপতে থাকি আর না হয় গরমে ঘামতে থাকি।হর্ণ শুনে সরে যায় পাশ দিয়ে ট্রেন চলে যায় আর আমি একলা গুন গুন করে গান গাইতে গাইতে রেল লাইন ধরে এগিয়ে যায়

এক অসত্য

নিরবে সুখকে খুঁজে বেড়ায় আর দুঃখকে লালন করি।আপন মনে এগিয়ে যায় অচেনা আর অদ্ভুদ এক জায়গায়।আচ্ছা পুরা জীবনটাই কি একটি নীরবতার ভান্ডার নয়?মানুষের দেহের মাঝে শত শত কাজ চলছে নীরবে কোখাও কোন শব্দ নাই তাই বলে কাজ কি ব্যাহত হচ্ছে?তাহলে জীবন চলায় এত শব্দ কেন।আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়েছে চুপ অথবা নীরবতা একটি ভাষা শব্দহীন ভাষা যা শুনতে পাওয়া যায় না।আমি দেখেছি চুপ থাকাটা কখনো কখনো ভাল।এই যে আমি একটি বিশেষ মানুষের কাছে বরাবরই নীরব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।আমি জানি আমি নীরব না আমি কথা বলি অসংখ্যবার তার সাথে দূর বহুদূরে হয়তবা আওয়াজ যায় না কখনো পাই না শুনতে।হয়ত সেই নীরবতা পালন করে।নৈঃশব্দবতী হিসেবে আমার অন্তরে দোলা দেয় সে।পর্দার পিছনে আলো নেই।দেওয়াল তিন দিকে নিজেকে বেঁধে ফেলি এক অসত্য আর অচেনা মুখশ্রীতে।চোখ খুলে দেখি আকাশ বাতাসে কাঁপছে প্রকৃতি।আমি আস্তে আস্তে ডাকি তাকে বলি ফিরে আস তুমি সে আসে না আমিও আর ডাকি না।কালো এক আলো মুছে দেয় সবই পিছনে তাকাই রাস্তায় পদাংক আসতেই মুছে যায়।পড়ে তাকে ছবি চিন্তা আর অবচেতনা।হেসে ফেলি ভাবি পৃথিবীতে সত্যিই সব কিছু পাবার দরকার নাই।আড়ালে থাকা সত্য এসে হাত ছুঁয়ে চলে যায়।তার বিপরীত দিকে অসমী ছুটে চলি আমি সাথে থাকে আমার নীরবতা।

ছুঁয়ে দিও

আচ্ছা তোমাকে কি আমি একটু ছুঁয়ে দিতে পারি?আমাকে ছুঁয়ে দিতে চাও?হ্যাঁ তোমার মিষ্টি মুখের অপরূপ হাসি আমাকে পাগল করে দেয়।একটু কি ছুঁয়ে দিব তোমায় আলতো করে ঐ মুখশ্রীতে।দিতে পার তবে মনে হয় না কিছু অনুভূত হবে।আচ্ছা তুমি কে?তোমাকে কি আমি চিনি অথবা দেখেছি কোনদিন?কোনটা আগে বলব?ক্রমানুসারেই বল।আচ্ছা আমি কে তাইনা এর ব্যাখ্যা মুটামুটি বৃহতের কাছাকাছি।তবুও বল।আচ্ছা আমি তো মাঝে মাঝে তোমাকে দেখতে পাই।আমার বিছানায় এসে বস যখনি তোমার হাত স্পর্শ করতে চাই তুমি দূরে পালাও।আচ্ছা অন্যরা কি তোমাকে দেখতে পাই যেমনটা আমি তোমাকে পাই।তুমি যতগুলা প্রশ্ন করেছ সব গুলার উত্তরই একবাক্যে বলতে গেলে না।ও তাই বুঝি।যাহোক তুমি কিন্তু তোমার পরিচয় এখনো দাও নাই।আমার কোন বিশেষ অথবা আলাদা পরিচয় নাই।ধরে নাও তুমি তোমার একটা সুন্দর নাম আছে আছে পরিচয় আছে অস্বিত্ত যেমনটা আমার নাই যাই হোক আমি বলে এই সুন্দর পৃথিবীতে কেউ নাই।তাহলে তুমি?আমি হলাম তোমার মনের অবচেতনের একটি খন্ডাংশ।তোমার মস্তিষ্ক খুব সুন্দর ভাবে আমাকে সৃষ্টি করেছে।শুনছো তো ?হ্যাঁ ।শব্দ হল যে।সিগারেট নিভে গিয়েছিল ধরিয়ে নিলাম।আচ্ছা কিন্তু আমার যে মনে হয় কোন এক দূরপাল্লার বাস যাত্রায় তোমার সাথে আমার পরিচয় হয়।ওটা অবাস্তবতা বাস্তবে এমনটা হয়নি।তাহলে আলটিমেটলি কি দাড়ালো তুমি কি?এক কথায় আমি বিশ্বাস অথবা কল্পনা।তুমি কি সত্য কথা বলছ?হ্যাঁ ।তুমি কি কোনদিন আমাকে ছুঁয়ে দিবে?জানি না।আচ্ছা আমি যাই অনেক কথা বলে ফেললাম ।তুমি তো কোথাও যেতে পারবে না।ভাল থেক ।আর হ্যাঁ একটা কথা যদি সম্ভব হয় তোমাকে একবার ছুঁয়ে দিব।আশায় থাকব।ভালো থেক তুমি।তুমি ভাল থাকলেই আমি ভালো থাকব কারন তুমিই আমি।ও আচ্ছা নিশ্চয়।ভালো থেক প্লিজ।

বহুদূরের আমি

এই আমিকে আমি দেখিনি কখনো।এই আমিকে চিনি না আমি নিজেকে প্রশ্ন করি আমি কি ভালো আছি।আমার খুব মনে হয় কেউ যদি কিছু খুব তীব্রভাবে চায় তাহলে সে সেটা পায় না।মানুষের চাওয়া অথবা পাওয়া গুলো বড় বিচিত্র।ভাগ্য বা ইংরেজীতে যাকে বলে LUCK সেটা বোধহয় সবাইকে ঠিক সাপোর্ট করে না।সপ্ন দেখাটা বোধহয় ঠিক না হয়তবা ঠিক না দূরে তাকানো।সবাই অথবা সবকিছুই যেন আমার বিপহ্মে সবাই আমাকে কাঁদায় দুঃখ দেয়।একজন বিশেষ মানুষ বরাবরই আমাকে কাঁদিয়েছে।জীবনটা ঠিক কেমন যেন পাল্টে গেছে অনেকটা ষ্টেশনে পৌঁছানো ট্রেনের হঠাত্‍ রুট অথবা লাইন পরিবর্তনের মত।হয়তবা সবাই সব কিছু পায় না বা সবাই সব কিছু পাবার যোগ্যতা রাখে না।আমি খুব দূর দেখতে পায় না।আমি সহজে কাঁদি না কিন্তু KUET RUET আমাকে যতেষ্ঠ কাঁদিয়েছে।সপ্ন ভেঙ্গ গেছে পুঁড়ে গেছে তার রং।একটা মানুষ ঠিক কতটা দুঃখ পেতে পারে আচ্ছা দুঃখ পরিমাপের কি কোন স্কেল অথবা একক কি আছে?আমি ঠিক আমি নাই বহু দূরে চলে গেছি খুব সম্ভব মিলিয়ন মাইল দূরে।আমি বিশ্বাসী এবং পরিপূর্ন।কিন্তু আমার খুব দুঃখ হয় আর কাঁদতে।এই যে কিছু সময় পূর্বে একা রিকশায় বাসায় ফিরছিলাম আঁধারের মাঝ দিয়ে রিকশা যাচ্ছিল আমার বাসায় কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল যে বহু দূরে কোথাও যাচ্ছি।আচ্ছা রাতের মত এত চমত্‍কার সুন্দর পরিবেশ আর কি হয়?আমার বন্ধুরা বলে সকাল নাকি বেশী ভালো আমি হাসি আর অবিশ্বাস করি।আচ্ছা সব কিছু কেন চাওয়ার মত আসে না।বহুদূরে দাঁড়িয়ে আমি আমার পূর্বের অবস্হান দেখি নাহ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অর্থ দুঃখ পাওয়া ছাড়া আর কিছু না।

আমার আছে জ্বল

কেউ একজন কখনই ফিরে আসবে না, কোনদিনই তার ফিরে আসবার মত যতেষ্ট অবসর হবে না।কোনদিনই সে দেখবে না আর শুনবেও না।নীল আকাশ যত বিশাল তার অধিক বিশাল যে প্রনয় তা কখনও ভাঙ্গবার নয়।আমারই যতেষ্ট অবসর আছে কেউ একজন ফিরে আসবে সেই ভাবনা ভাবার ।আমি ঠিক বুঝি না আবেগকে সবাই এত মূল্য দেয় কেন?হয়তবা একসময় আমি আবেগের দাম দিয়েছি,দিয়েছি মিথ্যার দাম।একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে যতদিন পর্যন্ত এগুলা ভাল লাগত এখন আর ভাল লাগে না।নিজেকে আমার প্রায় অনুভূতিহীন এক রোবট মনে হয়।সপ্নগুলা বহুপূর্বেই বর্নহীন হয়ে গেছে আর অনুভূতি গুলাও নষ্ট হয়ে গেছে।কিছুই যেন ভালো লাগার নেই।সবকিছুইতে কেমন যেন অনাগ্রহী আমি।সব কিছু মিলিয়ে যে ঠিক কি অবস্হায় আছি বলা যাইতেছে না।একটা সময় আমার "আমার ভালবাসা " নামক একটা অনুষ্ঠান আমার অনেক প্রিয় ছিল কিন্তু এটা শুনতে আমার খুব বিরক্ত লাগে।মনে হয় সত্যিই রোবট হয়ে গেছি যার অনুভূতি নেই কেউ ফিরে আসার জন্য অপেহ্মা করতে হয় না।কি অদ্ভুদ আর আজব ব্যাপার।পাঁচটি নীলপদ্ম একজন বিশেষকে দিয়ে দিয়েছি এখন রিক্ত আর শূন্য আমার কাছে অবশিষ্ট নেই আর কিছু।কিন্তু আমি মাঝে মাঝে বুঝি সত্যিই আমি রোবট হয়ে যাই নি এখনো।তখন পুরানো কিছু দৃশ্য বার বার দেখতে পাই।মনে হয় খুব কাছে নাগালেই কিন্তু হাত দিলেই উড়ে যায়।বার বার দেখি একজনকে যে বাতাসে উড়ে বেড়ায় একটি আঁখিসমুদ্র যাতে আমি ডুবে যায় শত বার ডাকি কেউ আগায় না।নিরবে এক ব্যাথা এসে যায়।আমি ডাকি আর ডাকি একজন দেখতে পাই কিন্তু শুনতে পাই না ।মাঝে মাঝে একটি পথে চেয়ে থাকি যেখানে কেউ একজন তার পদধুলি দিয়েছে অসংখ্যবার ।বার বার ভুলে যায় অসম্ভবতার সংজ্ঞা।কত কাছে থেকেছি হয়ত কয়েক মিটার দূরত্বে তবুও কোনদিন শুনতে পাই নিঃশ্বাস নেবার শব্দ।আশায় আশায় চেয়ে থাকি।বৃষ্টির হলে আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছা হয়।আমি দেখতে পায় দুটি আঁখি ।আমি খুঁজে পাই নি।দীর্ঘ দৃষ্টি দিয়ে দূরের ঐ ফেরার পথে চায় কিন্তু চোখ আমার ঝাপসা হয়ে যায় কিছুই দেখতে পায় না।অবাক হয়ে দেখি জ্বলে ভিজে গেছে আমার দুটি চোয়াল।আমি চোখে হাত দিই শুকনা হাত ভিজে ওঠে।নিরবে আঁখি জ্বল নিরবে শুকিয়ে যায় আবারো রোবটের অনুভূতি হয়।মনে হয় সব কিছুই আছে তবু কিছু একটা নেই।

পথের শেষে

পথ কি কথনো শেষ হয়? যে পথ অনন্ত অসীমে চলেছে তা কেমন করে শেষ হয়?যদি এমন হত যে একটা দীর্ঘ পথ ধরে চলছি চলছি আর চলছি আর হঠাত্‍ করেই একসময় পথ শেষ হয়ে গেল তখন কি হবে?পথ মনে হয় কোন দিনই শেষ হয় না বরং আমরা শেষ হয়ে যায় পথের শেষের পূর্বে।আমার প্রায় মনে হয় আমি একা একটা ব্রীজে হাটছি কিছুদুর যাবার পর আমার সামনে আর পেছনের অংশ ভেঙ্গ নিচে পড়ে গেল অথচ আমার কাছের কিছু অংশ ঠিক রইল আমি দেখছি সামনে ও ফাঁকা পিছেও ফাঁকা তবুও কি পথ শেষ হতে পারল? যে নৌকা সাগরে পাল উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায় তার পথ কি কোনদিন শেষ হয়? অথবা মরুভূমিতে বালি পথের কি কোন শেষ আছে? পথের মাঝে বিরতি আছে তবুও শেষ হয় একটা বিষয় যার শুরু বা শেষ কোনটাই নাই।হঠাত্‍ মাঝখান দিয়ে আমরা পথে যোগ দিই আবার মাঝখান থেকেই নেমে যেতে হয়।মাঝের কিছু সময় আমরা পথে থাকি পথের সাথী এগিয়ে যেতে থাকি।আমার খুব ইচ্ছা আকাশ যেখানটাতে নেমেছে সেখানে যাবার পথ যেখায় শেষ হয়েছে সেখানে যাবার।মাঝে মাঝে মনে হয় পথ তো শেষ হয় যেমন রাস্তা থেকে বাসা আসলাম আর তো রাস্তা নাই এই বুঝি পথ শেষ।আবার মনে হয় না এটা তো পথের শেষ নয় পথের একটা অংশ যার উপর আমার ঘর আমার ঘরের শেষে আবার পথ ।না এই পথ কোনদিন শেষ হবে না অনন্তকাল চেষ্টায় তাকে ধরতে পারব না আমরা এই অল্প জীবনের সল্প সময়ে তাকে ধরা অবাস্তব।পথের শেষে কি আছে আমি ভাবতে চেষ্টা করি মনে হয় একটা মাইল ফলক দেওয়া তাতে লেখা পথের শেষে সেখানে লেখা স্টপ কাছেই সাদা ধোঁয়ার মত মনে হয় এই তো মেঘ বা আকাশ নেমে গেছে দিগন্ত রেখা দেখি আর দেখি ঐ একটা কথা পথের শেষে।

তোমাদের শহরে

আচ্ছা পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকাটা কি এতই জরুরী যতটা জরুরি একজন মানুষের জন্য অক্সিজেন?এর উত্তর সম্ভবত দুটি হ্যাঁ এবং না।দুটি উত্তরের সাপেহ্মে সমান আর অধিক যুক্তি দেখানো যায়।পৃথিবীতে বহু প্রশ্ন আছে যেগুলোর একই সাথে দুটি উত্তর থাকে। কি উদ্দেশ্য এই উদ্দেশ্যহীন ভাবে অনন্ত অসীমে অল্প সময়ের জন্য দুর্গম পথে যাত্রার?আচ্ছা পৃথিবীটা কি সবার অনুকূলে ঠিক যেমনটা চায় সবাই?নাকি পৃথিবীটা যার যেমন ইচ্ছা তেমন?আমি খুব অবাক হই আর ভাবি আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কোথায়?সম্পূর্ন ভিন্ন ধর্মী দুটি কল্পনা অথচ একই সাথে আমাকে আঘাত করে ।ঐ যে বললাম বেঁচে থাকাটা জরুরী কিনা?আমার প্রায় মনে হয়েছে বেঁচে থাকটা একেবারেই জরুরী না অর্থহীন ভাবে খানিকটা সময় কাটানো পৃথিবীতে সময় কাটাবার অর্থ হচ্ছে দুঃখ কষ্ট আর অপ্রিয় মুহুর্ত গুলাকে টেনে নিয়ে বেড়ানো এ ছাড়া বেঁচে থাকা মানে হলো মান অভিমান সুখ আর দুঃখ।যখন সবকিছুতে নিজের অবস্থান খুব দূরে হয় তখন এমনটা মনে হয়।খুব বাজে একটা সময় তখন কাটে মনে হয় কেউ নেই কোন শব্দ নেই যান জন কেউ নেই।অদ্ভুদ আর এক বিরাট শুন্যতা অনুভূত হয়।চেনাকে ও বিরাট অচেনা মনে হয়।পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে অদৃশ্য মনে হয়।নিজেকে অনুভূতিহীন রোবট মনে হয় তখন কার অনুভূতি সত্যিই কি লাভ এই দুঃখের সাগরে সাঁতরাবার।মাঝে মাঝে আবার ঠিক এর উল্টা অনুভূতি হয়।গানিতিক ভাবে 1/এই অনুভূতি। যখন সব কিছুই নিজের অনুকূলে চলে বা নিজের অবস্হান সব কিছুর সাথে হয় তখন মনে হয় না পৃথিবীতা নিষ্ঠুর আর অবিবেচক।তখন মনে হয় কি লাভ বোকামি করে তার চেয়ে যতদিন সম্ভব এই জীবনকে উপভোগ করি ।কিছু কিছু মুখ যার জন্য মনে হয় এই ইউনিভার্সকে যতটা খারাপ আর স্বার্থপর ভেবেছিলাম তা ততটা নয়।আচ্ছা কেন এমন হয় যে এই সল্প সময়ের জন্য এই অল্প পথের বেশী দূরত্ব পাড়ি দেবার।কেউ কি পেরেছে এই পথ পাড়ি দিয়ে অন্য পথে যেতে?প্রতিটি মানুষই এক একটা নৌকা অথবা বিচ্ছিন্ন ভাঙ্গা দ্বিপ যেখানে সে একেবারেই একা কেউ তাকে দেখবার নেই অথচ আমরা বারেবারে ব্যর্থ প্রচেষ্টা করি তা দেখার অথচ তা দেখা কখনো সম্ভব নয়।আমরা এই আছি এই হাসি এই সূর্য ওঠে পৃথিবী ঘুয়ে যায় ক্যালেন্ডারের পাতা বদলে যায়।তবুও মনে হয় এই তো আছি বেশ।আমাদের ভাঙ্গা নৌকায় অচেনা দ্বিপে ছুটছি বেশ জানি হারিয়ে যাব তবুও নৌকা নিয়ে আগাচ্ছি ।জানি না এই নৌকা কোথায় গিয়ে থামে আর কোথায় গিয়ে সে কোন অবাস্তব নগরীতে উঠি আমি!যেতে চায় ঐ শেষে যেথায় যাবার মত সময় থাকবে না এই পৃথিবীতে।

শুন্য অরণ্য

পৃথিবীটা গোল যদি বেঁচে থাকি দেখা হবে।পৃথিবীটা গোল হবার অর্থ এই না যে না চাইতেও এখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যাবে।আচ্ছা আলোক বর্ষ দূরে থাকা ঐ গ্রহগুলাকে কি আমরা একটু ছুঁয়ে দিতে পারব? কোনদিন কি আমরা পারবো আলোর বেগ অর্জন করতে?একটা বিশাল অরণ্য যেথায় কারো দেখা না মেলে আমি হেঁটেছি আমি দেখেছি এক সমুদ্র যার কোন জ্বল ছিল না আমি ডুবে গিয়েছিলাম।আমি মনে করতে পারি যে সেটা ছিল এক দীর্ঘ দিনের অল্প সময়।সময় কেটে গেল রাত নেমে গিয়েছিল তবুও আলোর বেগে চলা ঐ শক্তিকে আমাকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল।আমি একা ঐ অরণ্যে নৈঃশব্দ পরিবেশ ছিল তবুও বারে বারে দৃষ্টিভ্রম হয়।আচ্ছা একটা অরন্য বা একটা শুন্য মাঠ কি কখনো পুরাপুরি শুন্য হতে পারে?আমরা এই বলি শুন্যতায় ডুবে গেছি কেউ নেই কাছে দূরে এই কথা গুলা কি পুরাপুরি ঠিক?একটা অরণ্য কখনো শুন্য হতে পারে না কেউ না কেউ সেথায় থাকেই।আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় আমি একা বড় একা কিন্তু তা তো নয় তোমার সাথে আছে এক পৃথিবী যেটাতে কোটি কোটি অস্তিত্ব আছে যা তোমার দৃষ্টির বাইরে।আমি একা অরণ্যে ছিলাম না আমার সাথে ওরাও ছিলো আমি তাদের আকার আর অবস্হানের জন্য দেখতে পাইনি।একটা মানুষ যতই বলুক সে একা আসলে সে কিন্তু একা নয় অনেকেই তার সাথে আছে কিন্তু সে জানে না একটা প্রেম বা ভালবাসার জন্য সব কিছু উজাড় করা সত্যিই বোকামী।একটা আকাশ যতই শুন্য দেখাক সে শুন্য নয় একটা বিশাল মরুভূমিও কোনদিন শুন্য হতে পারে না।ঐ বহু দূরে থাকা তারা গুলাও তো একা নয় ।কেউ কারো পাশে থাকেই একটা বিরাট বেড়ে ওঠা তরু সে কি একা?শত শত অস্তিত্ব থাকে তার বুকে সে কি পারে তাদের ফেলতে?না পারে না ।মানুষ হয়ে জন্ম নেবার অনেক গুলা সমস্যার মাঝে এই একটা সমস্যা হচ্ছে সে কখনোই একা না যদিও এক দিক থেকে প্রতিটি মানুষই এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এটাও ঠিক তবে সেটাতো শুধুমাত্র মানুষের মাঝে ভাবা হচ্ছে কিন্তু আমার চিন্তা সমগ্রকে নিয়ে পৃথিবীটা তো মানুষের একার সম্পদ না ওদের তো অংশ আছে ওরাও তো এই পৃথিবীর সন্তান।তাই একটা শুন্য প্রান্তর দেখে কখনোই ভাববার অবকাশ নেই যে এটা প্রকৃতপহ্মে শুন্য।

চোঁখটা দেখ

যদি কখনো ঘুমিয়ে পড়বার পর চোঁখ খুলে দেখি যে এই চেনা পথ বড় অচেনা হয় গেছে যদি দেখি আমি দাঁড়িয়ে আছি এক অচেনা আর অজানা শহরের প্রান্তে যদি দেখি একদল অচেনা মানুষ আমাকে ঘিরে ব্যস্ততার সাথে ছুটে চলেছে যদি দেখি অসংখ্যবার ব্যবহার করা পুরানো সেই রাস্তাটা কিছুতেই আমি খুঁজে পাচ্ছি না যদি দেখি সেই পুরানো আর বারবার বসা সেই চায়ের দোকান গুলা আর সীমানায় নাই তবে খুব দুঃখ পাব।যদি দেখি একটা রাস্তা যা ধরে আমি ছুটে চলেছি আর চলেছি এক যানে আর হঠাত্‍ এসে নেমে গেছে রাস্তার মাঝে।আমি অবাক হব না আমি কাঁদব না আমি ভয় পাব না কারন আমি জানি আমি তাকে চিনি না কিন্তু জানি আমি যতই দেখি অচেনা মুখ যদি আমি হারিয়ে যায় ঐ অচেনা প্রান্তরে আমি কিছুতেই কাঁদব না।যদি চোঁখটা খুলে দেখি আমি আর আমার সেই বিছানাটায় শুয়ে নেই বাইরে দাঁড়িয়ে নেই আমার প্রিয় লাল সেই বাইকটি পাশের রুমে নেই আমার প্রিয়মুখগুলি তবুও আমি দুঃখ পাব কিন্তু বন্ধ করা চোঁখটা খুলে ফেলবো হয়তবা কষ্ট হবে দুঃখ পাব ভয় পাব কিন্তু আমি জানতে চাইবো সেই রাস্তায় কোথায় চলেছে কি আছে তার মাঝে কোথায় থেমেছি আমি কোথায় আমার বাস?আমি খুঁজতে চাইবো সেই নতুনকে যাদের সাথে আমি থাকবো আমাকে যাদেরকে আঁকড়ে ধরতে হবে।আমি জানতে চাই অচেনাকে আমি চিনতে চাই আমি খুঁজব।আমায় জানার ইচ্ছা অদম্য।আমি নতুন সৃষ্ট হওয়া প্রশ্নগুলার উত্তর দিব আমি আমাকে হারাবো আমাকেই ফিরে পাব।যদি চোঁখ খুলে দেখি এক খোলা নীল আকাশ যদি দেখি কাছে দূরে অসংখ্য প্রানী কাউকে চিনি না কাউকে জানি না কেউ আমাকে জানে না কেউ আমাকে চিনে না।যদি চোঁখ খুলে দেখি আমার প্রিয় অসমাপ্ত গেম গুলা শেষ হয়ে গেছে যদি কেউ এসে আমার চোঁখটা খুলে দিয়ে গেছে আমি সামনে দেখব আমি দেখব আমাকে আর বাইরের অচেনা ঐ শহরটাকে ।আমি জানি আমি পারবো ।আমি শক্তিশালী কারন আমি জানি আমি দুর্বল ।আমি জানি আমাকে পারতেই হবে ।যদি চোঁখ খুলে দেখি না সব ঠিক আছে কিছুই বদলে যায় না যা ভেবেছি সবই কল্পনা তবুও চোঁখ খুলব কারন আমি বারেবারে আমার শহরকে দেখতে চাইবো কারন আমি তাকে ভালবাসি।আমি চোঁখ খুলব খুঁজে নিব প্রিয়জনদের যাদের অনেক ভালবাসি।যদি চোঁখ খুলে দেখি সত্যিই বদলে গেছে চারপাশ তবুও চোঁখ বন্ধ থাকবে না আমি আনন্দ করবো যাই দেখি চোঁখ খুলে।অচেনা আর অজানায় আমার আগ্রহ অনেক।আর এই অদম্য ইচ্ছাটা আমি পুরন করবোই।

আলোক বর্ষ দূরে

আলোক বর্ষ বলতে আমরা সাধারনত যা বুঝি তা হল আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে।এ হল প্রায় (9.4*10^12 Km). . . .ভয়াবহ টাইপ একটা ফিগার আর তার থেকেও ভয়াবহ হচ্ছে যে দূরত্ব তা।মাঝে মাঝে দুইটি বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব নির্নয় করতে ব্যর্থ একটা চেষ্টা করি যার একটা অবস্হান আমি দেখতে পাই আমি দেখতে পাইনা আরেকটি বিন্দু কোথায় অসীমে আছে ।নিশ্চয় তার অস্তিত্ব আছে এবং অসীমে অজানায়।যে বিন্দুটা একসময় খুব কাছাকাছি ছিল তার অবস্হান আজ কত দূরে আমি মাপি আর মাপি শত কোটি আলোক বর্ষ যার দূরত্ব।এত দূরত্ব যাতে পৌঁছাতে লাগবে অসীম সময়।প্রায় আমি দেখি দুটি ভিন্ন গ্রহ যার একটিতে একজন অপরটিতে কেউ নাই।জীবনের বাস্তবতায় যার দূরত্ব কয়েকশ মাইল অবাস্তবতে তার দূরত্ব শত কোটি আলোকবর্ষ।আচ্ছা বাস্তবতা মানে কি পুরাপুরি বাস্তবতা এতে কি খানিকটা অবাস্তবতা মিশে থাকে না?কেউ কি কখনো তার অস্তিত্ব আরেকজনের কাছ থেকে পুরাপুরি মুছে দিতে পারে?মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার অনেকগুলা সমস্যার মাঝে এই একটা সমস্যা হচ্ছে মানুষের emotion বা আবেগ আছে।যা নিঃসন্দেহে খুব খারাপ একটা জিনিস।কেউ একজনের অস্তিত্ব বরাবরই আমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল কখনো তার থেকে আসা আলোক কখনোই আমার রেটিনায় বেশীহ্মন থাকেনি।একটা সময় ছিল যখন পর্যন্ত আমার শুকনা খানিকটা আবেগ ছিল আজ নেই কারন তা ভৈরবের জ্বলে ধুয়ে গেছে।আমি বরাবরই রোবটের মত হতে চেয়েছিলাম যে আবেগহীন একজন হবার।কিন্তু মানুষ হিসেবে যা অসম্ভব আমি জানি না আমি পারব কিনা তবুও কোন দুইজন এই অচেনা মানুষের মধ্যে এই অসীম দূরত্ব কমার আশা নাই।আলোক বর্ষ দূরের ঐ বিন্দু না হয় তার অবস্হানেই থাক কারন সব কিছু তো সম্ভব হবার দরকার নাই না কিছু অবাস্তবই থাকুক।

অন্তরালে

সামনে থাকা বাসটা হঠাত্‍ই ছেড়ে দিল বহু লোকের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় হঠাত্‍ করেই স্হানটা একেবারেই জনশূন্য হয়ে গেল।দূরে একজোড়া আলোর দেখা মিলে যায়।তারপর আবারই শুন্য মিলিয়ে যায়।আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না কেউ আমাকে ফেরায়।মানুষের জীবন এত বৈচিত্রময় কেন?কোন মানুষই সফল?এই ত্রিমাত্রিক জগতে কি মানুষের পহ্মে সব করা সম্ভব?অল্প সময়ে আমাদের আসলে অনেক কাজ করতে হয় কতক ভুল হয় কতক সঠিক হয়।ভুল গুলা অধিকাংশ সারাবার ব্যাবস্হা থাকে না।একটি বস্তু যাকে আমরা সরাসরি দেখি তারও কত কিছু যে আমাদের অদেখা থেকে যায় তার হিসাব নাহি থাকে।অসংখ্যবার ব্যবহার করা জিনিস বা অসংখ্যবার দেখা জিনিস থেকে যদি আপনাকে আমাকে প্রশ্ন করা হয় আমি আপনি বেশীরভাগই পারব না।মানুষের সীমাবদ্ধতা অনেক একটি মানুষের খুব কম কিছু করবারই অনুমতি সময় বা হ্মমতা থাকে।বেশীর ভাগই অদেখা থেকে যায় অন্তরাল আর আড়াল বরাবরই আমাদের সীমানার বাইরে ।আমি ভাবি কি করে মানুষের এই ব্যাপার গুলা ঘটে ।মানুষের সাথে হাজারটা ব্যাপার ঘটে প্রতিনিয়ত কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা বেশীরভাগই ধরতে পারি না।আমার খুব ইচ্ছা চতুর্থ মাত্রার একটা জগতে যাবার যেখানে সময়কে অতিক্রম করা যায়।জীবনের ভুল গুলা শুধরে নেওয়া যায়।আর সীমাবদ্ধতা।আমি জানি আমার সীমাবদ্ধতা আমাকে সেখানে যেতে দিবে না।মানুষের শুধু সীমাবদ্ধতা কেউই প্রকৃত অর্থে মুক্ত না।আপনি যদি খুব ধার্মিক হন ধর্ম আপনাকে বাধা দিবে।পরিবার আপনাকে বাধা দিবে বিয়ের পর আপনি বাধা পাবেন বিয়ের পর আপনার সন্তান আপনাকে মুক্ত হতে দিবে না।কেউ পারে না একাকী থাকতে।আমি চাই মুক্ত হতে সীমার মাঝে অসীমে যেতে।মানুষের কি করা উচিত ?এই সীমাবদ্ধতা থেকে দূরে যাওয়া কি আদৌ সম্ভব।না আমি ভাবি যখনি আপনি যেতে চাইবেন কেউ আপনাকে পেছন থেকে টেনে ধরবে তাকিয়ে দেখলেন কেউ নাই অথবা কেউ আছে যাকে কোনদিন দেখেন নি সে একটা হাসি দিবে আপনি চলে যাবেন আবার সামনে কেউ আপনাকে থামাবে অদৃশ্য আর দৃশ্য বাঁধা আপনাকে যেতে দিবে না।মানুষের পহ্মে সব হয়ত সহ্য করা সম্ভবও না কেউ হয়ত আপনাকে অতিক্রম করবে ।সবাইকেই ফিরতে হবে যেখান থেকে আসছিলাম।

অবচেতনা

অবচেতনা কি?প্রায় আমি ভাবতে চেষ্টা করি ।অবচেতনা বলতে ঠিক কি বুঝায়।আমার কাছে যা মনে হয় তা হল যে কাজটি মানুষটি একে বারে ভাবনা চিন্তা ছাড়াই মনের অন্তরাল থেকে প্রাকৃতিক ভাবেই করে তাই অবচেতনা।আচ্ছা মানুষ কি সব কাজ ভেবে চিন্তেই করে নাকি অবচেতন মনে করে।আমার মনে হয় যে মানুষ সব চেয়ে বেশী কাজ করে অবচেতন মনে।প্রতিটি মানুষের থাকে একটি মন যার একটি অংশ অবচেতন।অবচেতন মন এক অদ্ভুদ অংশ যা দ্বারা মানুষ কল্পনা করতে পারে সব কিছু বাস্তব অবাস্তব সব কিছু।মানুষ হিসাবে মানুষের প্রতি প্রেম ভালবাসা আবেগ অনুভূতি এটা কি চেতন নাকি অবচেতন মনের অংশ?যে কাজটা আমার খুব বেশী জরুরী তাই হচ্ছে অবচেতন মনের কাজ।আসলে সব কাজ চেতনা নিয়ে করতে হয় না যেমনটা পৃথিবীতে সব কিছু জানতে হয় না কিছু জিনিষ অজানা থাকাই ভালো তেমনি অবচেতনা ও।মানুষ হিসাবে আমারো আছে ঐ একটি অবচেতন মন।যার মাধ্যমে আমি সৃষ্টি করে নিয়েছিলাম এক চরিত্র যার সাথে কোনদিন আমার দেখা হয় নি হয় নি কোন কথা।হয়তবা বাস্তবে তার অস্তিত্বও নাই কোন।সে শুধুই কল্পনা এটাই হচ্ছে অবচেতন মনের একটা কারসাজি।মানুষের এই অবচেতন মনের একটা বড় ভূমিকা আছে মানুষের সাথে ।এই অবচেতন মনই মানুষকে সপ্ন দেখায় বাঁচবার ।কেউ তার অবচেতন মনকে পারে না করতে অস্বীকার আমি জানি আমি কি কি আমার হ্মমতা আর জানি আমার সীমাবদ্ধতা ।অবচেতন মনেই এই কথাগুলা বলছি।প্রতিটি লাইনের আগেই জানতাম না পরের লাইন কি হবে।আমায় ঐ মন ঠিকই আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে ।আমি ভালবাসি না।প্রতিটি কাজ করছে এই অবচেতনা ।মানুষের জন্য এই অবচেতন মন সত্যিই গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার।আচ্ছা মনকে কি আদৌ দেখা সম্ভব?আমার খুব দেখতে মন চায় ।কেউ যখন তার গার্লফ্রেন্ডকে বলে যদি বল তোমাকে আমার মন খুলে দেখাতে পারি তখন আমার বলতে ইচ্ছা হয় ওরে ছাগল পারলে দেখা তো দেখি।আমার যে অদ্ভুদ ইচ্ছা গুলা আসে সবই ঐ অবচেতন মনের অংশ।এই অবচেতন মন নিয়ে থাকতে চায় যতদিন বেঁচে আছি এই ধরনীতে।

কাল্পনিক যান্ত্রিকতা

শুধুই যান্ত্রিকতা আর বাকিটুকু কল্পনা।যান্ত্রিক এই পৃথিবীর পুরাটাই কল্পনা নাকি কাল্পনিক এই পৃথিবীর পুরাটাই যান্ত্রিকতা? চোঁখের রেটিনায় ধরা এই সুন্দর ধরনী কি কাল্পনিক নাকি বাস্তবিক?আচ্ছা বাস্তবিকতা আর কাল্পনার মধ্যে পার্থক্য কি? কল্পনার মধ্যেই বাস্তবিকতা নাকি বাস্তবতার মধ্যে কল্পনা থাকে।আমার কাছে মনে হয় বাস্তবিকতা কখনো পুরাপুরি বাস্তব নয় এতে অনেকটা কল্পনা মিশ্রিত থাকেই।এই পৃথিবীর যত বাস্তব ঘটনা আছে তার কল্পনা থাকে কল্পনা ছাড়া বাস্তবতা কখনো পুরাপুরি হয় না।আসলে আপাত দৃষ্টিতে যত এই পৃথিবীকে যতটাই যান্ত্রিক মনে হোক না কেন এই পৃথিবী আসলে অনেকটা কাল্পনিক।রূপ রস গন্ধ বর্ন সবটাই তো কল্পনা তাইনা।অবশ্য মানুষ আজ বড় যান্ত্রিক কল্পনা ব্যাপারটা আজ মানুষের মাঝে একেবারেই নাই তারা আজ বড় কৃত্তিমতা নিয়েই ব্যস্ত।আচ্ছা কাল্পনিক যান্ত্রিকতা ব্যাপারটা কেমন হতে পারে আমি প্রায় ভাবতে চেষ্টা করি।সবটা ভাবনাই আনাটা যতেষ্ট কঠিন তবুও ভাবি কারন ভাবতে আমি ভালবাসি।আমি কল্পনা করি একটি নগরী যেখানে যান্ত্রিকতা ছাড়া দ্বিতীয় কিছু নাই মানুষের জীবনে কল্পনা বলে কিছু নাই।আজকাল প্রায় মনে হয় এমন যে কল্পনিকতাকে প্রার বিলাসিতা ধরা হয় যদিও দুটো প্রায় দুই মেরু আমি খুঁজে বেড়ায় কাল্পনকা আমি ধরতে চেষ্টা করি ধরতে যান্ত্রিকতাকে আমি দূর করে দিতে চায় যান্ত্রিকতা আমি ভালবাসি।কাল্পনিক যান্ত্রিকতা শুধু কাল্পনিকই থাকুক না ওর বাস্তবে আসবার দরকাতো নাই পৃথিবীতে তে তো সব কিছু বাস্তবে আসার দরকার নাই কিছু না হয় অবাস্তবই থাকুক। কাল্পনিক বাস্তবতা কাল্পনিক ই থাকুক। 

আঁধারের ছায়া

Twitterআচ্ছা কখনো কি আঁধারের ছায়া পড়তে দেখা যায় অথবা কোনদিন কি এমন হয় যে আঁধারের দীর্ঘ ছায়া পড়েছে ।আঁধার বলতে আমরা কি বুঝি আলোর অভাব তাই তো নাকি, ব্যাপার টা তো তাই নাকি।?পৃথিবীতে আসলে এত ঘটনা ঘটে যে সব গুলো কে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না ,তবে আমি একটু অন্যভাবে ভাবতে চেষ্টা করি.আমার মতে আঁধারের তো অবশ্যই ছায়া আছে , আঁধার ছায়াই তো আলো .আলো তো ছায়া। কেউ কেউ তো বলবে আলোই তো ছায়া দেয় তাইলে আলো ক্যামনে ছায়া হতে পারে।আমি তাল সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারছি না।আমি বলবো আলো তো অবশ্যই ছায়া হতে পারে।এই আঁধারের ছায়া কিন্তু জীবনের একটি বিশেষ দিককে সমর্থন দেয়।কেউ কেউ আমরা জীবনে ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে খুব হতাশ হতে পড়ি যা আদৌ সঠিক না আলো ছায়া পৃথক তো কিছু না এক না দুটি বিশেষ বস্তুর দুটি ভিন্ন রুপ।আলোই আঁধারের ছায়া আঁধারই আলোর ছায়া . আমি খুব সাধারন ক্যাটাগরির একটা ছেলে অন্যসবার মত আমিও অনেক বার এই আলো আঁধায়ের ছায়ার মাঝে পড়েছি।আচ্ছা আলোর কি কোন রং থাকে।নাকি আলো বর্নহীন মাঝে মাঝে ভাবতে ভাবতে চেষ্টা করি এই আলো আঁধারের খেলা কি আদৌ শেষ হবে। 

সেই সব দিনগুলি

দিনগুলি কখনো ফিরে আসবে না যে দিন গুলা চলে গেছে হয়তবা ফিরে পাব না কোনদিনই।মাঝে মাঝে ভাবি যা চলে গেছে তারে নিয়া দুঃখ করে লাভ কি? কিছু কিছু সময় যা অনেক বেশি কড়া নাড়ে মনের দরজায় তাকে ক্যামনে ভুলি।আমি মনে করতে পারি স্কুল কলেজের সেই রঙ্গিন দিনগুলা।যে দৃশ্য মনে পড়ছে এই যে ঠিক ১ বছর আগে আমি জীবনে প্রথম বেরিয়ে পড়ি বাড়ি থেতে কোচিং করতে বুয়েটে পড়ার সপ্ন।আমি মনে করতে পারি সেই কঠিন সময়ের কথা যে সময়টার উপর মানুষের জীবন দাড়ায় ।আমি দেখি আমি ঐ পরিস্থিতিতেও ক্যামনে আমি এত শান্ত ছিলাম অন্যসবার মত আমিও সপ্ন পুরনে ব্যর্থ যাক বুয়েট না হোক আমি আজ চুয়েটে তো আছি এই অনেক।আমি আজ আমার প্রিয়জন আত্বীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব ছেড়ে বহুদূরে আমি আর ফিরে পাব না সেই দিনগুলা যেই দিনগুলাতে অসম্ভব সুন্দর সময় কাটছিল ।প্রতিদিন বিকালের সেই আড্ডা আমি সব সময়ই মিস করি।মনে পড়ে কলেজ লাইফের কথা প্রতিদিন বিকালে সেই কোচিং বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি ।আর কখনোই হয়ত এমনি আড্ডা মারা হবে না পাব না ফিরে সেই বিকালগুলা।প্রায় দুঃখ লাগে কান্না আসে মনে হয় রাগ লাগে তবুও এই জীবন এই বাস্তবতা।আমি খুঁজে বেড়ায় সেই পুরানো দিনগুলাকে ছুঁতে চায় তাকে আমি অপেহ্মায় চলে যাওয়া সেই দিনগুলার।

হারিয়ে পাওয়া

যা হারিয়ে যায় তারে কি আর যায় পাওয়া? যা চলে গেছে সীমার বাইরে তারে কি আদৌ পাওয়া সম্ভব কখনো? আমি জানি না অথবা আমি জানতেও পারি। এই পৃথিবীর বেশীর ভাগই জিনিসই অচেনা আর অদেখাই থেকে যায়। না আমি মনে করি যা গেছে তা গেছেই তা ফিরে পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।রবীবাবু সম্ভবত পোষা পাখিকে নিয়ে কথাটা বলেছিলেন যে যা ভালবাস তা মুক্ত করে দাও যদি কখনো ফিরে আসে তাহলে তো তোমার আর যদি না ফেরে তাহলে তা কোনদিনই তোমার ছিল না।হ্যাঁ বিশ্বকবি আমিও তো তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম কই সে তো আজ ও ফিরলো না অবশ্য তা দ্বারা বুজাচ্ছে সে কখনই আমার ছিল না অবশ্য কথাটা কোনভাবেই মিথ্যা বলা যায় না ।যা হারিয়ে গেছে তা কোনদিনই আসলে কোনদিনই পাওয়া সম্ভব না যতই না গুনি ব্যাক্তিরা ডায়ালগ ছাড়ুক।আমি খুঁজে ফিরেছি শতবার হারিয়ে যাওয়া আমাকে আমার আরেকটা স্বত্তা কে ।আমি জানি না প্রতিনিয়ত কেন সবাই সবাইকে হারিয়ে ফেলে ।প্রতিনিয়ত আমি চেন্জ হচ্ছি আগের আমি আর এই আমি পুরাই আলাদা তাহলে কি এই দুটা পুরা নতুন স্বত্তা নয় কি?হ্যাঁ স্বত্তা মানুষের অসংখ্য স্বত্তা থাকে যা সে নিজেও জানে না ।কখা হচ্ছিল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে যে আসলেই হারালে কিছুর পহ্মে ফিরে আসা সম্ভব কিনা?পথ চলতে পথ চলতে আমি হারিয়েছে পথ শতবারেরও অধিক আমি জানি না কোথায় সে কোথায় তার অস্তিত্ব আর কোথায় তার অনেকগুলা স্বত্তা? না ও সত্যিই হারিয়ে সময়ের গহবরে যেখান থেকে সবাই ফিরলেও সে ফিরবে বলে মনে হয় না।হারিয়ে পাওয়া যায় হারানো জিনিস।তবে হারিয়ে পাওয়া যেতে পারে তারই আরেকটা অস্তিত্ব যেটা সেই লালন করে অনেক দূর দিয়ে।নতুন হারানো আমি পায় প্রায় নতুন রং লাগে ভালো ।হারাতে হারাতে আমাকে আমি বারবারই আরেকটা স্বত্তাই যাকে আমি ভালবাসি।তারো কি একটা অতিরিক্ত স্বত্তা নাই যে হারিয়ে যেতে চায় বারে বারে?

বিপরীতে

বহুদিন পর আজ আকাশটাকে ক্যামন যেন অচেনা মনে হচ্ছে ।চেনা পরিচিত আকাশটাকে খুব বিষন্ন লাগছে।নাকি আকাশ ঠিকাছে আমি বিষন্ন বলে আকাশটাকেও বিষন্ন মনে হচ্ছে? হতে পারে।আচ্ছা বিপরীত জিনিসটা আসলে কি? রিভার্স বা বিপরীত জিনিসটাকি আছে আদৌ? আয়নায় যখন নিজেদের দেখি তখন যে বিম্বটা আসলেই আছে নাকি পুরাটাই অবাস্তব?না তা তো নয় প্যারালাল থিওরি মতে প্রত্যেক মানুষের সাথে তারই মত ঠিক আরো একজন আছে।ব্ল্যক হোলের মত যেমন হোয়াইট হোল আছে।তার মানে কি আয়নার ঐটাকি সে ।সে কি তাহলে সারাদিন থাকে আমার সাথে ?যখন শুধু আয়না দেখি তখন তারে দেখা যায়?কি ভয়ংকার কি আশ্চার্য? আচ্ছা আমরা ক্রমশ কি বিপরীতে চলে যাচ্ছি না ? হ্যাঁ যাচ্ছিই তো কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে সেখানে আমরা মোটেও যেতে চাই না অথচ কিছু ব্যাপারে আমরা বিপরীতে যেতে যায় কিন্তু হায় কখনো পারি না? বিপরীতে আছে টাই বা কি? আমার দূর রাত জাগা তারা হঠাত্‍ জ্বলে ওঠা নীয়ন নীল আলো অথবা দূর পাল্লার যানগুলো আমাকে প্রায় মনে করিয়ে দেয় অসম্ভবতার সংঙ্গা।আমি তো জানি না বিপরীতে কি আছে?আমি খুঁজে বেড়ায় বিপরীতে আছে যা।হ্যাঁ আমি মাঝে মাঝে পেয়েছি তবে আফসোস বেশীরভাগ সময়ই পায় নি বিপরীতে আছে ঠিক তাই যা আছে সামনে কিন্তু দুইটার জাত আলাদা একটি প্লাস অন্যটা মাইনাস।বিপরীতে আছে একগুচ্ছ বেদনা যা সম্মুখে নাই।আপাত দৃষ্টিতে তাকে হয়ত ভালো মনে হয় না কিন্তু বিপরীতই সেরা।বিপরিতে আসলে কিছু আছেই।

শুন্যহীন ব্যাস্ততা

এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ব্যাস্ত।ব্যাস্ততা তাদের মোটেও ছেড়ে দেয় না।সবাই কিছু না কিছু নিয়ে আছেই।সবারই মোবাইলে দীর্ঘহ্মন কথা বলার মত একজন থাকে সবারই একদিকে আগুন ধরিয়ে অন্যদিক দিয়ে টান দেবার মত কিছু থাকে আমারই শুধু কিছু থাকে না আমি ব্যাস্ত নই।সবারই যতেষ্ঠ অবসর থাকে না সবাই ।কেন জানি সব কিছু হয় না যেমনটি আমরা চাই।আমি অন্যদের ব্যাস্ততা দেখি আর হাসি আর বলি আমিই ভালো আছি আমিই আছি।কিন্তু আসলে কি আমি আছি ভালো? প্রশ্নটা আমাকে করি প্রায়? মনে তো হয় না।কেমন যেন রোবট টাইপ হয়ে যাচ্ছি ।কিছুই ভালো লাগে না।চেনা বস্তু অচেনা লাগে ।সমস্যা টা কি?কেউ একজন ভুল করবে আর ফিরে আসবে সেই আশায় কি আছি আমি? কেউ একজন ফিরে আসবার বড় দরকার আমার।কেউ একজনের পদধুলি পড়া উচিত আমার মনের রাস্তায়।জানিনা আর বুঝিও না ।অবশ্য সব কিছু জানা বা বোঝা উচিতও না।সবাই আছে শুধু আমি ছাড়া।আমি খুঁজে পাই নি আর তাকে বলতে পারি নাই।আমি আসলে ব্যাস্ত। সবচেয়ে বেশি ব্যাস্ত।ব্যাস্তদের থেকেও বেশি ব্যাস্ত।কারন আমার যতেষ্ট কিছু করবার থাকে না।আমি শক্তিশালী কারন আমি দুর্বল।আমি ভীতু কারন আমি সাহসী।আমিই মহান প্রেমিক কারন আমার কেউ প্রেমিকা নাই।কেউ একজন কে বড় বেশী দরকার ছিল আমার অবশ্য এখনও দরকার কিনা সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।একটা সময় যেটাকে খুব বেশী দরকার মনে হয় এখন সেটাকে প্রায় দরকার নেই বলে মনে হয়।আমি ব্যাস্ত হতে চেয়েছিলাম।আমিও ব্যাস্ত।প্রায়শ দেখা যায় ব্যাস্ততার মাঝে ডুবে যায় আমি আমাকে তোলবার মত নেই কেউ।কেউ একজনের প্রয়োজন আমার।আবার একই কাউকে প্রয়োজন নেই ।কারন প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দুটো।

শেষ রাতের ট্রেন

কি অদ্ভুদ ব্যাপার প্রতিদিন এই সময়ে একটা ট্রেনের শব্দ আমার কানে আসে।প্রতিদিন ঠিক এই সময় একেবারে একই মুহূর্তে ।আমি বড় অগোছালো প্রায় প্রতিদিনই আমি ভোরের আযান শুনে ঘুমাতে যায়।রাতের এই প্রহরে সবাই ব্যাস্ত।এতদিন যে রাতের তারা ভরা নীল জোসনা আমি উপভোগ করেছি আজ তা অন্যরকম আমি আজ চেনা শহর থেকে অচেনা এক শহরের বাসিন্দা।পুরানো সেই রাত গুলা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বহু দূরের আকাশে নীল আলোর ঝলকানি দেখা হয় না আর অথবা সময় বা সুযোগ ও হয়না ।তবুও আমি তো সেই আমি রাতকে ছেড়ে আমি থাকতে পারি না ফিরে যেতে চায় সেই তারাদের সাথে নীয়ন আলোর মাঝে।আমি খুব যে নিঃসঙ্গ তা তো না ।শূন্য রাস্তায় নির্জন পথে আমি হেঁটে বেড়ায় একা।দূরে বহুদূরের নীল আকাশে হঠাত্‍ইবা একটা বিমান দেখি ফেলি দূরপাল্লার।আমি জানি না কেন এমন হল?সবই তো ঠিক থাকার কথা ছিল কিন্তু হায় কিছুই তো ঠিক নাই।রাতকে লালন করেছি বুকে অন্ধকার ভালো লাগে আমার।আমি বহুবার খুঁজেছি সেই ট্রেনটাকে যেটার শব্দ আমি শুনি প্রতিদিন।কিন্তু পাই নি পাব কিভাবে সে তো অচেনা।শেষ রাতটাও বড় অদ্ভুদ একটা সময় প্রায় সময় ঘুমিয়ে এখন ফ্যান চলছে ঘড়ির ঠক ঠক আওয়াজ হচ্ছে আর রাস্তায় দূরপাল্লার যানের আওয়াজ।আমি কখনোই কাঁদি না।তবুও চোঁখের কোনে সহসাই জ্বল আসে।নীয়ন নীল লাইট পোস্টের নীচে এসে বসি আমি কেউ নেই অথচ কত ব্যাস্ততা।শুন্য রাস্তা তবুও কত যানযট হঠাত্‍ এক গাড়ি পুলিশ এসে দাড়ায় আমায় থামায় আমি হাসি আর বলি আমি হাঁটি আমি ফিরে আসি আর বারেবারে থেমে থাকি আমার সেই ব্যালকনি এক প্রান্তে যেথায় আমার মন প্রান থেমে আছে ।অথচ আমি চলছি গতিতে আমিতো থেমে আছি আবার আমিই চলছি কি অদ্ভুদ?

একা একা

সময়টা ছিল ২০০৫ সাল।ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন ।বই পত্র পড়ার অভ্যাস ছিল আগে থেকে।কিন্তু একদিন বাসায় কিছু পুরানো বই এর সাথে হালকা লাল মলাটের একটা বই এ চোঁখ আটকে যায় আমার।বইয়ের উপরে লেখা ছিল 'একা একা ' মাঝের দিকে হুমায়ূন আহমেদ।তখন পর্যন্ত স্যারকে আমি চিনতাম না তেমনভাবে তবে নাম শুনেছিলাম আগেই।বইটা হাতে পড়া শুরু করেছিলাম শুরুথেকেই ভাল লাগছিল ।একবারের জন্য বিরক্ত লাগে নি।শুধু পরের পাতায় নতুন কি আছে তাই ভাবছিলাম।একটানে শেষ করে ফেললাম বইটা।এই তো স্যারের সাথে পরিচয় ।তারপর থেকে এই পর্যন্ত স্যারের অসংখ্য বই পড়ে ফেলেছি।প্রথম দিকে হিমু মিসির আলী শুভ্র এদের সাথে পরিচয় ছিল না একে একে পরিচয় হয় হিমু শুভ্র মিসির আলী মুহিব দপ্তরী কালীপদ মীরা আরো অনেকের সাথে।প্রতিটি উপন্যাসই যখন পড়তাম তখন মনে হত আমিও ঐ উপন্যাসের একজন আছি কিন্তু কেউ আমাকে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু অন্যরা আমাকে দেখতে পাচ্ছে না কি অদ্ভুদ।স্যারের শঙ্খনীল কারাগার বইটা আমি প্রায় ৭ বার মত পড়েছি যতবার পড়েছি ততবারই কেঁদেছি ।কি করে একটা মানুষ এত ভাল লেখে? নন্দিত নরকে আমি চোঁখ বুজে এখনো দেখতে পায়।মেঘ বলেছে যাব যাব কোথাও কেউ নেই এইসব দিনরাত্রি একটা বাস্তব জীবনের খন্ডচিত্র।স্যার কত ভালো লেখে তা মাপার সামর্থ্য আমার নাই।হিমু পড়তে পড়তে প্রায় নিজেকে হিমু হতে মনে হয়েছে কিন্তু বাস্তবতার কাছে অবাস্তব হার মেনেছে বহুবার।মিসির আলী সাহেবকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয়েছে শতবারের অধিক তবুও প্রশ্ন করতে পারি নাই প্রায় রাতে আমার মনে হত যে হিমুর সাথে একটু হেটে আসি ।মীরার মত কঠিন স্বভাবের একটা মেয়ের সাথে কিছুসময় গল্প করার।কিছুই হয়নি।উপন্যাস গুলা যখন পড়তাম তখন কেমন একধরনের অনুভূতি হত কথনো বলে আমি বুঝাতে পারব না।কত কি যে জেনেছি স্যারের বই পড়ে তার হিসাব আমি নিজেও জানি না।স্যারের একটা কমন চরিত্র ছিল গ্রামের একজন স্কুল মাস্টার থাকবে যে একা থাকবে একা রান্না করে খাবে আর মাঝে মাঝে অদ্ভুদ সব আচরন করবে।সায়েন্স ফিকশানগুলা ছিল তুলনাহীন ।খুব ইচ্ছা ছিল স্যারের সাথে একবার দেখা করার স্যারের সাথে কিছু কথা বলার ।স্যার এর সাথে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার।স্যার কে বলতাম স্যার আমি যদি আপনার হিমু হই আপনি কি খুব মাইন্ড করবেন?জীবনে আমি খুব কম সংখ্যক মানুষকে ভালবাসতে পেরেছি আর তার মধ্য স্যারের অবস্হান উপরে।আচ্ছা স্যার কি জানত তার এই ফ্যানটি তাকে কতটা ভালবাসত?না জানুক সমস্যা কি যাকে ভালবাসি তাকে প্রকাশ করবার তো দরকার নেই।তিনি না হয় নাই বা জানল কারন সব কিছু তো জানবার দরকার নেই।কিছু অজানা থাকা ভালো।আমি প্রায় হারিয়ে যেতাম একটি জগতে সেখানে আমি হিমু ভাই বাকের ভাই শুভ্র মীরা আপু মিসির আলী সাহেব বসে গল্প করছি কিছুতেই আমরা একমত হতে পারছি না সবাই।হিমু একে একে উদ্ভট সব সমস্যা দিচ্ছেন মিসির আলীকে আর তিনি সব সমাধান করে যাচ্ছেন।শুভ্র বসে মোটা মোটা ইংলিশ বই পড়ছে।আমি আর বাকের ভাই বাইকে ঘুরছি ।মীরা আপু ইজি চেয়ারে দুলছে।সবই কল্পনা তবুও কেন জানি আমার কাছে সবই বাস্তব মনে হত।আমার ব্যাক্তিগত ধারনা যেটা সেটা হচ্ছে এই সবগুলাই স্যার।প্রতিটি কথা তার যেমন মানুষকে আনন্দ দিতে পারে তেমনি পারে চোঁখে জ্বল এনে দিতে।অসংখ্যবার কেঁদেছি তার বই পড়ে কিন্তু কখনো মনে হয় নি কেন কাঁদছি?তিনি আসলেই যা করে গিয়েছেন তা বলার নেই। আর হলো না।যেদিন তিনি মারা গেলেন আগের দিনই খবর পেয়েছিলাম তার অবস্হা বিশেষ ভালো না ।খুব খারাপ লেগেছিল শুনে বারবার প্রার্থনা করেছিলাম।পরের দিন শুনলাম তিনি অসময়ে আমাদের ছেড়ে একা একা চলে গেলেন। প্রকৃতি বড় নিষ্ঠুর ।সবই ঠিক ঠাক চলছে শুধু স্যারই নেই।স্যারকে তার কোন কিছুই সমস্যা হচ্ছে না।ভাবতে পারছি না তিনি আর নেই।নতুন কোন উপন্যাস পাব না আর।এই যে স্যার একবার দেখুন তো আমি মিসির আলী হিমু শুভ্র সহ সবার চোঁখেই জ্বল স্যার এতগুলা মানুষের জ্বল একসাথে আনার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে? এই সংবাদে কি হয়েছে জানেন শুভ্র তার মোটা চশমাটা ভেঙ্গ ফেলেছে কারন সে আর এই পৃথিবী দেখবে না যে পৃথিবীতে আপনি নাই সেই পৃথিবীতে আপনি নাই সে পৃথিবী দেখার মানে নেই।মিসির আলী আর কোন রহস্য সমাধান করবেন না বলে তার মাথায় আঘাত দিয়ে মাথা ভেঙ্গে ফেলেছে।হিমু তার সবগুলা হলুদ পান্জাবি তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।মাজেদা খালা আর কোনদিন মেজাজ খারাপ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।রুপা আর কোনদিন বারান্দায় হাটবে না খালু মাতাল হয়ে পড়ে আছে ।স্যার সবই সত্য আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না খুব কেঁদেছি সেইদিন যেদিন আপনি চলে গেলেন।আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখব যেটা যুগ যুগ ধরে মানুষ পড়বে জানি না পারব কিনা তবে চেষ্টা করব।স্যার আপনি কি জানেন যে আপনি চলে যান নি আপনি আছেন কারন আপনার কোথাও যাবার অধিকার নাই।

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...