শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩

শহুরে অন্ধ কবি

ফাকা রাস্তায় হাটতে হাটতে অথবা দুরন্ত যানের দুরন্ত গতিতে যেতে হঠাত করেই পরিবর্তন হয়ে যায় চারদিক । তার পর শুরু হয় উন্নত জীবনের নিম্নতর ধারা । শুরু হয় গ্রাম থেকে শহর , শহরের রাস্তা , শহরের বিল্ডিং , শহরের আলো , শহরের যানগুলা , আর শহরের সেই মানুষ গুলার ব্যাস্ত পথচলা । জীবনের গতিবেগ। তারপর ব্যাস্ত জীবনের ব্যাস্ত সময় কাটানো । তারপর নির্জনতা । ঘুমায়ে পড়া আর জেগে ঊঠা । । ।
আমি এক অন্ধ কবি ।  আমি খুব শহর ভালবাসি ।অথচ এই আমাকেই থাকতে হচ্ছে জীবনের পড়াশুনার প্রয়োজনে এক গ্রামে কারন আমার বিশ্ববিদ্যালয়টা গ্রামে অবস্থিত । আমার কিছু করার নাই আমাকে গ্রামে থাকতেই হয় ।
আমি খুব শহর ভালবাসি অথচ এই আমি জীবনের প্রথম ২০ টি বছর কাটিয়েছি একটি ছোটখাট মফস্বল শহরে যেখানে ছিল না সুউচ্চ পাহাড় সম বিল্ডিং অসংখ্য যান বড় বড় শপিং মল। । অথচ এখানে ছিল জীবন ধারনের জন্য সব কিছুই বুক ভরে শ্বাস নেওয়া যেত কখনো ভাবতে হত না যে যা নিচ্ছি তা নিরাপদ কিনা । । । তবুও শহর আমি অনেক ভালভাসতাম । ।
আমি খুব শহর ভালবাসি । শহর আমার অনেক ভালো লাগে । শহরের সব কিছুই আমার  ভাল লাগে । ।
শহরের রাস্তার নিয়ন  আলো আমার ভীষন প্রিয় এই আলো ধরে ফাকা রাস্তায় হাটতে আমার ভাল লাগে। যদিও শহর ক্ষনো ফাকা হয় না । সকালে ঘুম থেকে ঊঠে শহরের শব্দ শুনতে আমার ভালো লাগে । 
আমার ভালো লাগে বড় বড় বিল্ডিং শপিং মল । । আর সেগুলা যেখানে এক সাথে অনেক মানুষ পাওয়া যায়। শুহরের রাস্তার পাশে দাড়িয়ে চা খাওয়া , বন্ধুদের সাবথে আড্ডা মারা অথবা বিনা প্রয়োজনে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো। । 
আমি খুব শহর ভালবাসি উচু বিন্ডিং এর ছাদে বসে দুরের আকাশ অথবা নিচ থেকে আকাশের পানে উঠে যাওয়া টাওয়ারের মাথায় জ্বলে থাকা লাল আলো উচু বিল্ডিং এর উপরে ঊঠা বা ক্রমাগত আলোর ঝল্কানি দেখতে । 
আলো আমি অনেক ভালবাসি । শর আর গ্রামের মূল পার্থক্য হচ্ছে আলো শহরে অনেক আলো চোখ ঝলসে যায় গ্রামে আলো অনেক অল্প নিজেকে নিজে দেখতে পাওয়া যায় না। । শহরে অনেক আলো এই জন্য আমি শহর ভালবাসি । । ।শহরের রাস্তায় বাড়ীতে অনেক আলো। । । । । আলোর খেলা । । । ।
আমি খুব শহর ভালবাসি । । । খুব উন্নত শহর। । । ।
আমি খুব শহর ভালবাসি কারন শহরে সব পাওয়া যায় । ।জীবন যেখানে শুরু হয় । তাই শহর । আমি শহর ভালবাসি কারন শহর আমাকে ডাকে । শহরের ব্যাস্ত  রাস্তায় হর্ন  বাজাতে বাজাতে বাইক চালাতে আমার ভালো লাগে  । 
আমি খুব শহর পাগল । 
অথচ আমি গ্রামে থাকি । । । । । । । । । 
আমি শহরে যেতে চাই অনেক বড় শহর । । অনেক সুন্দর শহর । । ।যে শহর কখনোই ঘুমাইনা । আমি সেই শহরেই যেতে চাই ।
আমি খুব শহর ভালবাসি । । । । । । । । ।

মানচিত্র

ঘড়িটা কানের খুব কাছে নিলে ঠক ঠক আওয়াজ শোনা যায় । 
খুব অল্প আলোতে একজন মানুষকে হাটতে দেখলে বঝা যায় না যে মানুষটা আসছে নাকি যাচ্ছে, খুব অবাক লাগে।
প্রতি মুহূর্তেই স্মরন করিয়ে দেয় শেষ হয়ে আসছে সময়। ছোট্ট এই জীবন সময়ে কি থাকা উচিত আর কি বা না থাকা উচিত প্রায়ই ভাবতে ইচ্ছে করে কিন্তু কোথাও একটি যায়গায় গিয়ে বারে বারে আটকে যায় আমি কিছুতেই আর আগায় না বিক্ষিপ্ত চেতনা গুলা, অবশ্য এত ভেবে হবে হবে টাই বা কি আসলে মানুষের জীবন টা একটা ট্রেন গন্তব্যহীন পথে চলা হাতে নিয়ে বসে থাকা এক মানচিত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রেনটা কিছুতেই ওখানে যেতে পারে না, ল্যাপটপের ফ্যানের শো শো শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় কারো কারো। এখনো ঘুমিয়ে পড়েনি পাশের বাসার জিন্স প্যান্ট পরা মেয়েটা, রেডিওর জকি গুলার গলা কিছুতেই থামে না , শীতে কাপতে কাপতে ফেদার টাকে অণ্য কোর্টে পাঠাতে ব্যাস্ত ওরা।
জীওবন খুব অল্প হারিয়ে যাবার পূর্বেই কেউ তাকে হারিয়ে দেয়।অসংখ্যবার ভুল করা অংকটা কিছুতেই মিলে না আমার। এক রাস্তায় থেকে অন্য রাস্তা্র সপ্ন আমি এখনো দেখি ।ভুলে ভরা ঐ ডায়েরী টা আমারই জীবনের একটা অংশ , না বুঝে লেখা কবিতার চরণগুলা আমি আজও বারে বারে মিলিয়ে বাস্তবতার সাথে ।
শেশ হয়ে রাত ফোনের ব্যাটারী লাল হতে হতে একসময় হারিয়েই যায় , অবাক লাগে জীবন এত বৈচিত্র কেন?

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ঝাপসা ঝাপসা চোঁখে

ভাবের জগত বড়ই বৈচিত্রময়।এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভাবের জগতে থাকে কেউবা বাস্তবে কেউবা অবাস্তবে।আমিও ভাবের জগতে থাকি আসলে সবই অবাস্তব তবুও বাস্তব বাস্তব লাগে।চঁশমা ভাবের জগত আনার একটি অনন্য মাধ্যম।চঁশমা পরার অনেকগুলা অসুবিধার মাঝে একটা অসুবিধা হচ্ছে চঁশমা খুললে দূরের জিনিস সবই দেখা যায় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কিছু বোঝা যায় না বোঝা যায় কিছু লেখা আছে কিন্তু কিন্তু পড়া যায় না কি লেখা দেখা যায় কেউ একজন আসতেছে কিন্তু কে আসতেছে তা বোঝা যায় না একটা সময় পর্যন্ত খুব খারাপ লাগতো এটা ভেবে ।ভাবতাম ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আচ্ছা এইটাই কি তাহলে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া? কিন্তু এখন চশমা খুলে যখন বাইরে তাকাই তখন কেমন যেন লাগে ঘোর লাগা ঘোর লাগা ভাব।একটা লাইট ছড়িয়ে যাচ্ছে যাচ্ছেই ১টাকে ৪ থেকে ৫ টা দেখায়।আলো ছড়িয়ে যায়।আরো একটা অদ্ভুদ সুন্দর অনুভূতি হচ্ছে যখন বৃষ্টি হয় আর বৃষ্টির ফোঁটা গুলা এসে চশমার কাঁচে পড়ে আলোতে দেখলে অদ্ভুদ সুন্দর দেখায়।রাতে প্রায় যখন আমি হাটি লম্বা দীর্ঘ প্রায় ফাঁকা রাস্তায় তখন চশমাটা খুলে বুকে ঝুলায়ে দিই । কয়েক মিটার সামনের বস্তুগুলা অস্পষ্ট হতে থাকে।তারপর এভাবে আলো আঁধারের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।আসলে সত্যি কথা বলতে চশমা খুললে নিজেকে জগতের সবচেয়ে অসহায় মানুষের মধ্যে একজন মনে হয়।আসলে মানুষের দুঃখটা অসীম চাহিদা নয়।মরে গেলে চাহিদা শেষ হয় কিন্তু দুঃখ থামে না কোনদিন।চশমা খুললে দুনিয়াটা বড় আজব মনে হয়।ফাঁকা ফাঁকা অদ্ভুদ এক ফাঁকা শূন্যতা ।আচ্ছা এভাবেই কি সব চশমা পরা মানুষগুলা একসময় অন্ধ হয়ে যাবে?

জীবনের গল্প

মানুষের জীবনের গল্প বলতে যাওয়া প্রায় দুরূহ একটা কাজ।প্রায় অর্থহীনও। বটে সবার সাথে কারোও মেলে না প্রায় প্রতিটি আলাদা স্বত্তা ।আমি প্রায় ভাবি চোঁখ বুজে প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্পই আসলে এক কিন্তু এক একজন একেকভাবে নেয় একেক ভাবে উপস্হাপন করে।আচ্ছা এটা কি ঈশ্বর কতৃক নির্ধারিত নাকি পুরাটাই কাকতালীয় ? আমি বুঝতে পারি না।সবার জীবনে চাঁদ আসে তারা যায় লোডশেডিং হয়।সবার জীবনের ঘটনা আসলেই এক ।জন্ম নেওয়া বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়া।মূল বেস তো এই তিনটা ।প্রতিটি মানুষের জীবনের একটা রুট থাকে যেই রুট ধরে সে আমৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে ।অসংখ্য বাঁধা ডিঙ্গিয়ে সে যায় যাইতে থাকে এবং প্রায় প্রায় সে পড়ে যায় কেউ হয়ত হাটতে থাকে পাশেই সে না হয় একটু হাতটা ধরে তুলে দেয় আবার চলে যায় অদৃশ্য হয় কখনোই তাকে আর দেখা যায় না।রবীঠাকুর বলেছিলেন যে প্রতিটি মানুষ এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ।পরোহ্ম ভাবে তিনিও বললেন প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্পই এক।একটা ছেলে বা একটা মেয়ে এখানে খুব একটা তফাত গড়তে পারে না।আপাত দৃষ্টিতে আমি ভাবি আমরা ভাবি অন্যের সাথে আমাদের কত্ত অমিল তবে গল্প এক কি করে হয় ? হয় আসলেই হয় ।দৃষ্টি পরিবর্তন করতে হয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হয়।আসলেই সবই সম্ভব চাইলেই সম্ভব।হাত বাড়ালেই আকাশ ছোঁয়া যায় সময় থামিয়ে দেওয়া যায় যদি তুমি চাও।তুমি পার তোমার মত করে।সবার ই একটা ভিত্তি সপ্ন থাকে যা প্রায়ই পূরন হয় না।সবারই একটা ভিত্তি বিশ্বাস থাকে যাকে আঁকড়ে সে বেঁচে থাকে।সবারই কেউ কেউ বিশেষ থাকে যাদের জন্য সে বেঁচে থাকার সপ্ন দেখে।সবারই মেঘ থাকে যেখানে সে ভেসে বেড়াতে পারে।সবারই অশ্রু আছে অনুভূতি আছে সবাই চাই পৃথিবীটা তার মত হোক।একজন কবি একজন ডাক্তার কিন্তু এক দুইজনে ভাবতে পারে একজন মেডিকেল সাইন্সে অন্যজন কলমের কালিতে একজন চিত্র শিল্পী তার রং এ একজন মানুষকে ভাবে কবি কাব্যে ডাক্তার ঔষধে সবাই আসলেই একটা চিকন সুতার উপর দিয়ে হাঁটছে অনেক চিকন যা প্রায় দেখা যায় না।হাঁটতে হাঁটতে পড়ে যায় আবার হাঁটে।অনন্ত এ যাত্রা চলতেই থাকে।প্রতিটি মানুষ একই জিনিস ভাবতে পারে কেউ যুক্তিতে কেউ কল্পনায়।আমি ভাবি আমার মত করে সবাই তার মত করে।এইভাবে পৃথিবী চলে নিজের মত করে ।আর এই তো জীবনের গল্প

সময়ের শেষ বিন্দু

প্রকৃতি বড় নিষ্ঠুর আর বড় অসহায় আমি আমরা তার কাছে কিছুতেই নিজের মত চলতে দেয় না।কত সময় কেটে গেছে কেটে যাচ্ছে তবুও কিছুই ঠিক মত হচ্ছে না।আজও সেদিনের মত তারা ওঠে ফুল ফোটে চাঁদের আলোয় আলোকিত হয় চারপাশ।তবুও কিছুই ঠিক হয় না আমার।পৃথিবীতে মানুষ হিসাবে জন্ম নেওয়ার কষ্ট হচ্ছে আমাদের দুঃখ পেতে হয় যা আমরা পেতে হয়।এই আমি বসে আছি শুন্যতায়।আমি কেমন জানি হয়ে গেছি বদলে গেছে আমার প্রায় কিছু।এই আমি এত বদলে গেলাম কেন? কি তাহার কারন? অথচ এই আমি কখনো বদলে যেতে চাই নি।কিছু কিছু সময় থাকে যখন কিছুই করবার থাকে না শুধু চেয়ে থাকা ছাড়া।আমি চেয়ে থাকি ফ্রেমে বাঁধা কাঁচে জ্বল গড়িয়ে পড়ে যায়।আমার মন খারাপ থাকে যদিও আমি নিজেকে কথা দিয়েছিলাম যে আর কথনো মন খারাপ করবো না অথচ প্রায় আমি মন খারাপ করেই ফেলি ।অথচ মন ভালো থাকবার মত যতেষ্ঠ কারন আমার আছে তবুও মন খারাপ থাকে ।কাঁচ ভেঙ্গে যায় কিন্তু জোড়া দিলে কখনো আর আগের মত হয় না।আমার মনটা একটা ভাঙ্গা কাঁচ সদৃশ ।কেউ একজনের ইচ্ছা হয়েছিল ভেঙ্গে দিয়েছিল।একটা মানুষ কখনোই শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছায় তো চলতে পারে না কিছুতেই পারে না।এভাবেই কেটে যাবে সময় আর থেমে যাবে সময়ের শেষে জ্বলে থাকা প্রতিবিম্বের মত জ্বলে থাকা এক বিন্দু আলোক ।এভাবে হয় না কিছুই হয় না সম্ভবত হতেও পারে কারন পৃথিবীতে সব প্রশ্নের উত্তর তো দুইটা।কারো কারো অনুপস্হিতি উপস্হিতি চেয়ে বেশি অনুভূত হয়।কেউ কেউ পারে অনেক কাছে না আসে অনেক অনুভূতি অনেক স্মৃতির জন্ম দেওয়ার।কেউ কেউ আসলে অস্বাভাবিক হ্মমতা নিয়ে জন্মায় অন্যদের প্রভাবিত করবার।আসলে কেউ কেউ আসেই শুধু অন্যদের প্রভাবিত করতে।আসলে এভাবেই কেটে যাবে সময়ের আলো তারপর পৃথিবীটা অন্ধকার সমুদ্রে ডুবে যাবে।

অন্ধ কবি

হঠাত্‍ই নিভে যায় আলোটি আর জ্বলে ওঠে আলোর ছায়া আঁধার কিছুই বুজতে পারি না।সামনে থাকা সবই অদৃশ্য হয়।কেউ একজন বিশেষ অনেক দূরেই দাড়িয়ে রয় ।তার দূরত্ব এতই বেশী যে পরিমাপ করতে পারি না।একটা সময় কবিতা লিখতাম কবিতা লিখে ভরে ফেলেছিলাম ডায়েরীর প্রতিটি পাতা।তারপর একদিন হঠাত্‍ অনুধাবন করি কবিতা লেখাটা এতটা সহজ না যতটা আমি ভাবি।অনেক কঠিন ।তারপর ছেড়ে দিই।আর হারিয়ে ফেলি কাব্যভাষা।পৃথিবীতে মানুষের উদ্দেশ্যটা আসলে কি আমি বারবারই ভাবি ।আমি কল্পনা করতে পারি না আমি বুঝি না।বারবারই হারিয়ে ফেলি নিজেকে ।পৃথিবীটা কি ততটাই সুন্দর যতটা আমি ভাবি।রাত এখন আর উপভোগ করতে পারি না আমি এক অন্ধ কবি অন্ধ কবিদের জন্য সবই উন্মুক্ত ।আমি বহুদূরের আকাশ দেখি না এখন আর ।ব্যালকনিটা ফাঁকাই থাকে প্রতিদিন ।রেডিও জকিরা অফুরন্ত কথা বলতেই থাকে আমার কানে কিছুই আসে না বহু দূরের আকাশে নীল আলোর ঝলকানি অথবা শেষ রাতের ট্রেন যৌবনের গতিতে ছুটে চলা অনন্ত অসীম।আমি হারিয়ে যাব চলে যাব বহুদূরে আর সবাই ও যাবে ।সব কিছুই বদলে যাচ্ছে অনুভূতিহীন রোবটদের মত দিন কেটে যাচ্ছে তবুও মাঝে মাঝে অতৃপ্ত আত্মার মত কার ছায়া যেন কড়া নেড়ে যায়।যে অনন্ত দূরত্ব কোনদিনই শেষ হবে না তা পাড়ি দিতে চেয়েছি।আমার পৃথিবী আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে একটি দিন চলে যাবার অর্থ হচ্ছে যে আরো ১ দিন কমে যাওয়া।আমি মহাপুরুষ হতে চায় কিন্তু জানি পারব না কেউই পারবে না মায়া থেকে দূরে থাকতে পারব না তো ।রোবট হলে ভাল হত পৃথিবীর ভালো বা মন্দ অনুভূতিগুলা স্পর্শ করত না অবশ্য করারও দরকার নেই।কবি হতে চায় নি কোনদিন তবুও কবিতা লিখেছি খেলতে খেলতেই লিখেছি ।আমি কিছুই চাইনি অথচ অনেক কিছুই হবে।রাতের এই হ্মনে যাদের সাথে অনেক সময় কাটাতাম তারা হচ্ছে আমার প্রিয় ব্যালকনি আর রাতের আকাশ অপূর্ন এই অতৃপ্ত মনে খুঁজে ফেরা একটি ছায়া যেন কখনোই ধরে না এই রেটিনায়।অবশ্য অন্ধ কবিদের সব পেতে নেই তাতে করে অন্ধ চরন গুলা আসে না ।

অথবা ভালবাসা অথবা কামনা

চট্টগ্রামে থাকার সুবাদে এখন পর্ষন্ত অনেকগুলা বৌদ্ধ মন্দির ঘোরার সুযোগ হয়েছে ।একটা মন্দিরে একটা লেখা দেখে আমার চোঁখ আটকে যায় লেখাটি ছিল "ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসাই হচ্ছে প্রেম আর মানুষের প্রতি ভালবাসা হচ্ছে কাম " ।কথাটা মাথায় ঢুকে যায় আচ্ছা আসলেই কি তা? আমি বুঝলাম কথাটার দীর্ঘ একটি মিনিং আছে কিন্তু কথাটা কি আদৌ পুরাপুরি সত্য নাকি পুরাটাই ঠিক আমার বোঝার অজ্ঞতা? আচ্ছা ধরে নিই কথাটা সত্য তাহলে দেখা যাক কি হয় তাহলে প্রেম ব্যাপারটা একমাত্র ঈশ্বর শব্দের সাথেই যায় বাকি সব কাম ।আচ্ছা কাম ব্যাপারটা তো শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের প্রতিই আসে যদিও কিছু সময় এর বিপরীতটা আমি আমরা দেখতে পায় সেটা আসলেই একপ্রকার অসুস্হতা ধরে নিচ্ছি।কিন্তু ভালবাসা তো শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আসে তা তো না ।ভালোবাসার তো একাধিক মাত্রা পিতামাতার প্রতি ভালবাসা ভাইবোনের প্রতি ভালবাসা বন্ধুর প্রতি ভালবাসা মানুষের প্রতি ভালবাসা।প্রতিটি তার নিজের অবস্হান থেকে ভিন্ন আর আলাদা।প্রতিটি কারো সাথেই যায় না বা মেলে না তাহলে মানুষের প্রতি যে ভালবাসা তা কামনা ক্যামনে হয়? আচ্ছা ভালবাসা বলে পৃথিবীতে কিছু আছে তো? আমার না মনে হয় পৃথিবীতে ভালবাসা বলে কিছু নাই।জানি আমি সঠিক না তবুও।আচ্ছা অবশ্য আজকের দিনে অবশ্য ভালবাসার সংজ্ঞা বদলে গেছে আজকে ভালবাসা বলতে আমি আমরা বুঝি প্রেমিকার প্রতি ভালবাসা প্রেমিকের প্রতি ভালবাসা।আজকের দিনে সবই বদলে গেছে মন্দিরের ঐ কথাটাই সঠিক কাম সবই কাম।কিন্তু জানি অনেকেই বিশ্বাস করবেনা তবুও বলি আমাকে বন্ধুরা প্রায় বলত দোস্ত মেয়েটাকে তুই কেন ভালবাসিস অথবা পছন্দ করিস কি দেখে পছন্দ করলি? তার ফিগার তার মৌখিক সৌন্দর্য ? আমি বলি মৌখিক সৌন্দর্য আমার কাছে দৈহিক সৌন্দর্যটা কখনোই গুরুত্বপূর্ন মনে হয় নি আমি কোনদিনও তার বুকের দিকে তাকাই নি ।দেখতে ইচ্ছে হয় নি কতটা সুন্দর তার ফিগার ?একটা মায়াময়ী মুখের দুটি সমুদ্রসম আঁখির প্রেমে পড়েছিলাম আমি আমার মনে তো কোন কামনা ছিল না ।আর কামনা তো পরের ব্যাপার ।যদি সব হত তাহলে কামনাও হত প্রয়োজনেই হত।ভালবাসা আর কামনা তো এক না।আর প্রেম মানে কি যখন দুই পহ্মের ভালবাসা এক সরলরেখার এক বিন্দুতে মিলিত হয় সেটাই প্রেম।তাহলে ঈশ্বর ছাড়া বাকি প্রেম কিভাবে কাম হয়?হয়তবা এটা খুবই উচ্চ মাচের কথা যেগুলা মাথার উপর দিয়ে যায় অথবা এন্টেনায় ধরে না ।অথবা আমি বুঝি না।তবে অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা তো এমন হয় ।আমি বিশ্বাস করি অন্তত কাউকে তীব্র ভালবাসাটা কামনা হয় না হতে পারে না ।আমি ঠিক তো আমার পৃথিবী ঠিক বাকিরা ঠিক তো বাকিদের পৃথিবী ঠিক।অথবা মন্দিরের কথাটা ঠিক এক প্রেহ্মাপট দিয়ে যা আমি অবগত নই।হতে পারে সবই হতে পারে এই জগত সংসারে কিছুই অসম্ভব নয়।

সার্চ লাইটের আলোয়

পৃথিবীতে কিছু কিছু আধাঁর থাকে যা আলো কোনদিনই দূর করতে পারে না।আলোর এই এক বড় ব্যার্থতা মনে হয় আলো দেয়াতে ঐ আধাঁর আরো বহুগুনে বেড়ে যায়।মানুষের জীবনে অসংখ্য বার এই অধ্যায় আসে।না চাইতে আসে ।সামনে থাকা মানুষ হঠাত্‍ ই হারিয়ে যায়।একজন মানুষের হারিয়ে যাওয়া শুধুমাত্র তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার নয়।মানুষের জীবনটা একটা ইনফিনিটিভূজ অসংখ্য বিন্দুর সমন্বয়ে গঠিত।কোন না কোন দিক দিয়ে সবাই ইন্টার লিংকড।একজন আমারো হারিয়ে গেছে সেই শুন্য আঁধারে অসংখ্য বারের বেশি কেঁদেছি আর বলেছি ।এত বড় আঁধারের মাঝে আমি কোথায় পাব আমি খুঁজতে থাকব সার্চ লাইটের আলোয় জানি কোনদিন দুইটি রেখা একবিন্দুতে মিলিত হবে না।সমান্তরাল রেখা কখনো তা করেনা।

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...