বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

মেঘলা আকাশে

আঁজ আকাশটা বড় মেঘলা দেখাচ্ছে ঘড়ি বলে দিচ্ছে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে তবুও ঐ চেনা আর পুরানো সূর্যটাকে কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা যায় না।পাহাড়ের সমান অথবা তার চেয়ে উঁচু কালো মেঘ গুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।কোথাও কোথাও অল্প সাদা মেঘ দেখা যায় আর বাকীটা কালো মেঘে ঢেকে থাকা এক অদ্ভুদ রকম দেখায়।হ্মনে হ্মনে দূর আকাশের মেঘের গর্জন শোনা যায়।বাতাস বয়ে যায় হ্নদয় দোলা দেয়।কর্মব্যস্ত মানুষগুলো ঈষাণ কোনে জমে থাকা মেঘ দেখে ভয়ে বাড়ি ফিরে যেতে থাকে।পাখি উড়ে যায়।কৃষক গরু চরাতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়।দূর দিয়ে ছুটে চলা ট্রেনের হর্ণের শব্দে মাথা ধরে যায়।বহুদূরের আকাশে ডানা মেলে চলে যায় প্লেন।যাত্রীরা থমকে দাঁড়ায় ভয়ার্ত মুখে তাকায় জমে থাকা কালো মেঘের দিকে।সমুদ্রে বায়ু বয়ে চলে অবিরাম।চিন্তিত গলায় বার বার বিপদ সংকেত দিতে থাকে রেডিও ষ্টেশনগুলো।থেমে থাকা জাহাজগুলোর যাত্রীরা নেমে যায়।মেঘের গর্জন বাড়তে বাড়তে একসময় বেয়ে চলে আসে জ্বল।বর্ষার জলে ঝাপিয়ে পড়ে তরুন বাচ্চা অথবা কিশোরী।কাঁটা নাড়াতে নাড়াতে দূর পাল্লার যানগুলো ছুটে চলে দূরে।মাঝিরা নৌকা পাড়ে রেখে দেয়।চলে বর্ষার রাজত্ব নদী পুকুর আর খালগুলো থৈ থৈ করে জলে।বর্ষার জলে ধুয়ে যায় হতাশা ফিরে আসে উদ্দামতা ।সবার মনে আশা জাগে ।মেঘলা আকাশ জীবনের নতুন পথ দেখায়।একসময় চলে যায় বর্ষা আসে আবার সাদা মেঘ আর তীব্র রোদের সূর্য।সবাই আবার তাকায় ঐ আকাশে আবার কখন এতটুকু মেঘলা আকাশ দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...