বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

শুন্য অরণ্য

পৃথিবীটা গোল যদি বেঁচে থাকি দেখা হবে।পৃথিবীটা গোল হবার অর্থ এই না যে না চাইতেও এখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যাবে।আচ্ছা আলোক বর্ষ দূরে থাকা ঐ গ্রহগুলাকে কি আমরা একটু ছুঁয়ে দিতে পারব? কোনদিন কি আমরা পারবো আলোর বেগ অর্জন করতে?একটা বিশাল অরণ্য যেথায় কারো দেখা না মেলে আমি হেঁটেছি আমি দেখেছি এক সমুদ্র যার কোন জ্বল ছিল না আমি ডুবে গিয়েছিলাম।আমি মনে করতে পারি যে সেটা ছিল এক দীর্ঘ দিনের অল্প সময়।সময় কেটে গেল রাত নেমে গিয়েছিল তবুও আলোর বেগে চলা ঐ শক্তিকে আমাকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল।আমি একা ঐ অরণ্যে নৈঃশব্দ পরিবেশ ছিল তবুও বারে বারে দৃষ্টিভ্রম হয়।আচ্ছা একটা অরন্য বা একটা শুন্য মাঠ কি কখনো পুরাপুরি শুন্য হতে পারে?আমরা এই বলি শুন্যতায় ডুবে গেছি কেউ নেই কাছে দূরে এই কথা গুলা কি পুরাপুরি ঠিক?একটা অরণ্য কখনো শুন্য হতে পারে না কেউ না কেউ সেথায় থাকেই।আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় আমি একা বড় একা কিন্তু তা তো নয় তোমার সাথে আছে এক পৃথিবী যেটাতে কোটি কোটি অস্তিত্ব আছে যা তোমার দৃষ্টির বাইরে।আমি একা অরণ্যে ছিলাম না আমার সাথে ওরাও ছিলো আমি তাদের আকার আর অবস্হানের জন্য দেখতে পাইনি।একটা মানুষ যতই বলুক সে একা আসলে সে কিন্তু একা নয় অনেকেই তার সাথে আছে কিন্তু সে জানে না একটা প্রেম বা ভালবাসার জন্য সব কিছু উজাড় করা সত্যিই বোকামী।একটা আকাশ যতই শুন্য দেখাক সে শুন্য নয় একটা বিশাল মরুভূমিও কোনদিন শুন্য হতে পারে না।ঐ বহু দূরে থাকা তারা গুলাও তো একা নয় ।কেউ কারো পাশে থাকেই একটা বিরাট বেড়ে ওঠা তরু সে কি একা?শত শত অস্তিত্ব থাকে তার বুকে সে কি পারে তাদের ফেলতে?না পারে না ।মানুষ হয়ে জন্ম নেবার অনেক গুলা সমস্যার মাঝে এই একটা সমস্যা হচ্ছে সে কখনোই একা না যদিও এক দিক থেকে প্রতিটি মানুষই এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এটাও ঠিক তবে সেটাতো শুধুমাত্র মানুষের মাঝে ভাবা হচ্ছে কিন্তু আমার চিন্তা সমগ্রকে নিয়ে পৃথিবীটা তো মানুষের একার সম্পদ না ওদের তো অংশ আছে ওরাও তো এই পৃথিবীর সন্তান।তাই একটা শুন্য প্রান্তর দেখে কখনোই ভাববার অবকাশ নেই যে এটা প্রকৃতপহ্মে শুন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...