বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

আঁধার অথবা কান্না

মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হই কী অদ্ভুদ আর অচেনা মনে হয় চেনা আর পুরানো সেই আকাশটাকে।কখনো কখনো রাতের আকাশ দেখা যায় না।চাঁদ বা তারা কেউ কোথাও থাকে না।বড় ভয় হয় তখন।রাত কেন এত সুন্দর হয়।দূর দিয়ে চলে যাওয়া ট্রেনের শব্দ অখবা ঐ দূর আকাশের নীল আলোর ঝলকানি আমাকে ডাকে বারেবারে।নিজেকে আবিষ্কার করি এক অন্য জগতে।ব্যালকনির এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকি।মনে হয় পৃথিবীতে না আমি দাঁড়িয়ে আছি অন্য এক জগতে।মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।তারপর ব্যালকনির রেলিং এ কয়েক ফোঁটা জ্বল পড়ে।অন্য হাত দিয়ে তা মুছে ফেলি।আমার চোঁখের জল অন্য কেউ দেখুক আমি তা চাই না।মাঝে মাঝে বড় কষ্ট হয় বুকের উপর মনে পাথর বসে আছে।বর্ষা চলে আসে ভিজে যায় চারপাশ ভিজে যায় আমি।হাত প্রসারিত করি স্পর্শ করি জলের।কয়েক ফোঁটা জল চোখে দেই কারন চোখের জলে ভিজে যায় চোয়াল ভিজে যায় ঠোঁট।বর্ষার জলের কত সুবিধা।যখন বর্ষার জলে ভিজে ভিজে চোখের জল পড়ে কেউ বুঝতে পারে না কাঁদছি।রাতের ব্যালকনি আমার দাঁড়িয়ে থাকি একা শহর থাকে ঘুমিয়ে ব্যালকনিতে আমার কেউ আসে কদাচিত্‍।মাঝে মাঝে আকাশে মেঘের গর্জন ফুটে ওঠে সাদা আলোয় দেখা যায় চারপাশ।প্রকতি আসলে বড়ই সুন্দর।রাত যত বেড়ে যায় নীরবতা ততটা গাঢ় হয়।রাতের পরিবেশ আমাকে কাঁদায়।বর্ষার জল গায়ে লাগে জোনাকির রঙ্গিন আলো গায়ে লাগে।রাস্তা দিয়ে অনেক বাদে একটা দুইটা যান চলে।ডাক দেয় কান্না ডাক দেয় সৌন্দর্য।নিজেকে প্রশ্ল করি কোখায় আর কেন আছি?এই দূরত্ব এই পৃথিবী।চলে যায় বর্ষা ধুয়ে যায় সব সন্দেহ।আনমনে ঘরে ফিরে যায়।জালি আলো।দর্পনে নিজেকে দেখি ঠিক চেনা যায় না চোখের নিচে জল অথবা ফোলা আলো নিভিয়ে দিই।বিছানায় শুয়ে পড়ি।ঘুম আসে না এপাশ ওপাশ করি।ভোর চলে আসে কোন এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

My Favourates

নৈঃশব্দবতী ০১

আমার   প্রায়ই   সেই   রাতটার   কথা   মনে   পড়ে ,  সেই   দীর্ঘ   রাতটার   কথা ,  প্রতিটি   শীতের   রাতের   যোগফলের   থেকেও   দীর্ঘ   সেই   ...